মোদীর রাজ্যে খুব ভাল। দিদির রাজ্যে মন্দের ভাল।
পরিচ্ছন্নতার পরীক্ষা হয়েছিল দেশের ‘এ-১’ শ্রেণি ও ‘এ’ শ্রেণির ৪৬০ স্টেশনে। প্রথম দশের পাঁচটি গুজরাতের দখলে। আর পশ্চিমবঙ্গের সদা-ব্যস্ত দুই রেল স্টেশন— হাওড়া ও শিয়ালদহ ২৭৫ আর ৩৪৬ স্থানে।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রভাব স্টেশনগুলিতে কেমন পড়েছে, তা দেখতে রেল মন্ত্রকই ফেব্রুয়ারিতে সমীক্ষা চালায়। তাতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার যাত্রী এবং রেলের মোটবাহক ও ভেন্ডারদের একটি অংশের মত নেওয়া হয়। সমীক্ষা অনুযায়ী স্টেশনগুলির স্থানও চিহ্নিত করেছে রেল। গাঢ় সবুজ: খুব ভাল, সবুজ: ভাল, হলুদ: পরিচ্ছন্ন, কমলা: চলনসই, লাল: মন্দের ভাল এবং গাঢ় লাল: খুব খারাপ।
যাত্রীদের মতের ভিত্তিতে তৈরি ক্রম অনুয়ায়ী পরিচ্ছন্নতায় প্রথম দশ স্টেশন বিস, গাঁধীধাম, ভাস্কো-দা-গামা, জামনগর, কুম্বকোনম, সুরাত, নাসিক, রাজকোট, সালেম ও অঙ্কলেশ্বর। শেষের পাঁচটিই গুজরাতে। তাদের রং গাঢ় সবুজ। আর বাংলার (পূর্ব রেলে) পাঁচটি বড় স্টেশন—হাওড়া শিয়ালদহ, শালিমার, নৈহাটি, ব্যান্ডেল, লাল রঙে চিহ্নিত। রাজ্যের আর এক বড় রেল স্টেশন বর্ধমান আরও পিছিয়ে। সে পেয়েছে ‘খুব খারাপ’ তকমা।
হাওড়া, শিয়ালদহের সমগোত্রীয় স্টেশন মুম্বই সেন্ট্রালে যাত্রী সংখ্যা আরও বেশি। তবুও পরিচ্ছন্নতায় এ রাজ্যের দুই প্রধান স্টেশনের থেকে অনেকটা এগিয়ে সে। তালিকায় তার স্থান ১২৯। চেন্নাই ১২১। কিছুটা মান রেখেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তাদের তিনটি স্টেশন বোকারো, রৌরকেলা ও টাটানগরের স্থান যথাক্রমে ৫০, ৫৪ ও ৭৯ নম্বরে।
স্টেশনের অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার নিয়েই অভিযোগ বেশি। প্ল্যাটফর্ম সাফ হয় না। মল-মূত্র পড়ে থাকার অভিযোগও মিলেছে। পানীয় জল নেওয়ার জায়গাগুলি মোটেই পরিচ্ছন্ন নয়। বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই, থাকলেও সেটির হাল খারাপ।
দিল্লি ও নিজামুদ্দিনের অবস্থাও তথৈবচ। পরিচ্ছন্নতার নিরিখে দিল্লির স্থান ২৪৮ নম্বরে ও নিজামুদ্দিনের ৩৪৮ নম্বরে। পরিচ্ছন্নতার ক্রম অনুযায়ী সব থেকে নিচে থাকা ৫টি স্টেশন মধুবনী, বালিয়া, বক্তিয়ারপুর, রায়চুর, সাহগঞ্জ। সব ক’টিই বিহারে।
এই সমীক্ষার উপরে ভিত্তি করেই রেল বোর্ড পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে। যে সব অঞ্চলের স্টেশনে পরিচ্ছন্নতার মান উল্লেখযোগ্য নয়, রেল বোর্ড তাদের সতর্ক করবে।