বক্তা: প্রব্রাজিকা ভাস্বরপ্রাণা। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
পরাধীন ভারতবাসীর মুক্তির চিন্তা থেকে মেয়েদের শিক্ষা দান— সারা দিনের কঠোর পরিশ্রমের পরে সন্ধ্যায় মিলত কিছুটা অবসর। তখনই বাগবাজারের ছোট্ট একটা ঘরে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে খাতা-কলম নিয়ে বসতেন তিনি। মাঝেমধ্যে উঠে গিয়ে ছাদে পায়চারি করে আসতেন।
সালটা ১৯১০। চরম উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এক সময়ে শেষ হল সেই লেখা। ইংল্যান্ড ও ভারতে একই সঙ্গে প্রকাশ পেল ‘দ্য মাস্টার অ্যাজ আই স হিম’ বইটি। স্বামী বিবেকানন্দকে খুব কাছ থেকে দেখে তাঁর জীবন, কাজকর্ম, আদর্শকে উপলদ্ধি করে এই বই লিখেছিলেন স্বামীজিরই মানসকন্যা ভগিনী নিবেদিতা। পরবর্তী সময়ে ওই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন স্বামী মাধবানন্দ। বাংলায় সেই বইয়ের নাম ‘স্বামীজিকে যেরূপ দেখিয়াছি’।
রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, গোলপার্কের সহযোগিতায় বুধবার বিবেক চেতনা সংস্থা আয়োজন করেছিল প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা সদ্ভাবনা বক্তৃতার। সেখানেই ভগিনী নিবেদিতার লেখা ‘স্বামীজিকে যেরূপ দেখিয়াছি’-র বিভিন্ন অংশ আলোচনা করেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভাস্বরপ্রাণা। তিনি বলেন, ‘‘তন্নতন্ন করে স্বামীজিকে বুঝতে চেয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। তাঁর লেখা এই বই জাতীয় সাহিত্যের একটি সম্পদ।’’