সমস্ত বুথেই থাকবে ভিভিপ্যাট মেশিন। নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটগ্রহণযন্ত্র বা ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগে সরব হয় রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু কারচুপি যে আদৌ বাস্তবে সম্ভব নয়, ভোটারদের কাছেও তা স্পষ্ট করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
সে কারণে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেইল) নিয়ে শহরের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জের ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চায় তারা। হাতেকলমে ভোটারদের দেখানো হবে কী ভাবে কাজ করে ওই যন্ত্রগুলি। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে বানানো হয়েছে একটি তথ্য চিত্রও। সরকারি দফতরের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের সিনেমা হলগুলিতেও সেই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৭৮ হাজার ৭৯৯টি। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটও থাকবে। সেই প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৪ জানুয়ারি রাজ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ভিভিপ্যাট, ইভিএম এবং কন্ট্রোলার মেশিন চলে এসেছে। সেগুলি পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব বৃহস্পতিবার বলেন, “ভোট যন্ত্রে কোনও ভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট, ওয়াই-ফাই, ব্লু-টুথ বা অন্য কিছুর মাধ্যমে ইভিএম-কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ বার নির্বাচনে ভিভিপ্যাট থাকছে। ভোটাররাও জানতে পারবেন, তাঁরা ঠিক জায়গায় ভোট দিচ্ছেন কি না।”
আরও পড়ুন: ‘…পুনর্নির্বাচিত করুন’, বিষ্ণুপুরে সৌমিত্রর নামে দেওয়াল লিখন প্রায় চূড়ান্ত
কমিশন সূত্রে খবর, ইভিএম যন্ত্রের পাশেই থাকবে ভিভিপ্যাট। ব্যালট ইউনিটে নির্দিষ্ট জায়গায় বোতামে চাপ দেওয়ার পর লাল আলো জ্বলে উঠবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি ‘বিপ’ শব্দও হবে। ভিভিপ্যাট থেকে একটি কাগজও বেরিয়ে আসবে। দেখা যাবে প্রার্থী এবং দলের প্রতীক। যদি ভিভিপ্যাট থেকে কাগজ না বার হয় অথবা ইভিএম-এর লাল আলো না জ্বলে, কিংবা আওয়াজ না হয়— তা হলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে বলে কমিশন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের ‘শাস্তি’! কারখানায় ঢুকতেই পারলেন না কর্মীরা, অভিযুক্ত তৃণমূল
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)