taxi

‘মন কি বাত’-এ মোদীর মুখোমুখি হচ্ছেন এ রাজ্যের সেই ট্যাক্সিচালক

সহিদুলের ইচ্ছে ছিল, এক বার প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে হাসপাতাল গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরবেন। সে স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে সহিদুলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:০৪
Share:

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ সহিদুল। —নিজস্ব চিত্র।

তিনি নিজে এক সময়ে চা-ওয়ালা ছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও সে কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায় নরেন্দ্র মোদীর মুখে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর মতো এ রকম অনেকের জীবন সংগ্রামের কথা তুলেও ধরেছেন নমো।

Advertisement

ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা সহিদুল লস্করের লড়াইয়ের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসার অভাবে বোনের মৃত্যুর পর, তিনি কী ভাবে তিল তিল করে হাসপাতাল গড়ছেন, তা নিজের মুখে বলেছিলেন নমো।

তখন থেকেই সহিদুলের ইচ্ছে ছিল, এক বার প্রধানমন্ত্রীর সামনে গিয়ে হাসপাতাল গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরবেন। সে স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে সহিদুলের। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন বছর পঁয়তাল্লিশের সহিদুল।

Advertisement

ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন

আরও পড়ুন: মোদীকে ‘মন কি বাত’ শোনাতে যাচ্ছেন সহিদুল

সহিদুলের হাতে পৌঁছনো আমন্ত্রণপত্র। —নিজস্ব চিত্র।

আগামী কাল শনিবার রাতেই তিনি দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন একটি ফাইল। সেই ফাইল তিনি তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। বলবেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও। কতটা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তাঁকে হাসপাতল গড়তে হয়েছে।রবিবার ‘মন কি বাত’-এর৫০তম অনুষ্ঠান।

এ দিন শুধু সহিদুল নয়, তাঁর সঙ্গে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ৩০ জন সাহসী ‘যোদ্ধা’র কথা শুনবেন নরেন্দ্র মোদী। পরে সেই অনুষ্ঠান দূরদর্শনেও সম্প্রচারিত হবে।সহিদুল বলেন, “হাসপাতাল গড়তে অনেক টাকার প্রয়োজন। চিকিৎসক রাখতে হবে। কিনতে হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবেই গ্রামবাসীরা চিকিৎসার সব রকমের সুবিধা পাবেন। আমি যে ফাইল দেব, তাতে সবই লেখা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১২ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যও চাইব।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের প্রান্তিক এক গ্রাম পুঁড়ি। প্রায় বিনা চিকিৎসায় ২০০৪ সালে মারা গিয়েছিল বোন মারুফা লস্কর। বোনের ওই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি সহিদুল। এর পরই হাসপাতাল তৈরির জেদটা চেপে বসে। তিল তিল করে সহিদুল দু’বিঘা জমি কিনেছেন। সেখানে ‘মারুফা মেমোরিয়াল হাসপাতাল অ্যান্ড জেরিয়াট্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নামে একটি হাসপাতালও গড়েছেন। কাজ শেষ করতে এখনও প্রায় ১২ কোটি টাকা লাগবে।

আরও পড়ুন: ছেলেমেয়েরা রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছে, ঠাঁই দিল এক মুসলিম পরিবার

সহিদুল নিজে ৩টি ট্যাক্সির মালিক ছিলেন একটা সময়ে। সেগুলো বিক্রি করেছেন। স্ত্রী শামিমা বিয়ের গয়না তুলে দিয়েছেন স্বামীর হাতে। এই কাহিনি শুনে চিকিৎসকেরাও এগিয়ে এসেছেন। চালু হয়ে গিয়েছে আউটডোর পরিষেবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন