শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের মার, অভিযুক্ত শাসক দল

মেমারির স্কুলে গোলমালে শিক্ষিকার পাশে দাঁড়ানোয় ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রধান শিক্ষিকাকেও গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৩২
Share:

মেমারির স্কুলে গোলমালে শিক্ষিকার পাশে দাঁড়ানোয় ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রধান শিক্ষিকাকেও গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

বাম জমানার মতো এই আমলেও শিক্ষাক্ষেত্রে নাক গলানো অভ্যেসে পরিণত করেছেন শাসক দলের কিছু নেতা। তাঁদের দেখাদেখি আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন সাধারণ কর্মীরাও। শুক্রবার মেমারির বৈদ্যডাঙা বালিকা বিদ্যালয়ে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।

স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা সিংহের সঙ্গে শিক্ষিকা ত্রিষ্টতা চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছে। পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং মেমারির তৃণমূল বিধায়কের কাছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকির অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। গত তিন দিন ধরে তাঁকে স্কুলে ঢুকতেও দেয়নি তৃণমূলের কিছু কর্মী।

Advertisement

স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি রতন ঘটক বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা এবং ওই শিক্ষিকার মনোমালিন্যর জেরে স্কুলের পঠনপাঠনে প্রভাব পড়ছিল। দু’দিন তো শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছিল না।’’ সমস্যা মেটাতে এ দিন বিকেলে পরিচালন সমিতি, স্কুল পরিদর্শক, প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন তৃণমূলের বিধায়ক আবু হাসেম মণ্ডল। বেশ কয়েক জন ছাত্রীও সেখানে ছিল। প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, ত্রিষ্টতাদেবী ক্লাস করেন না, ঘুমিয়ে কাটান। কিন্তু কয়েক জন ছাত্রী বলে, ‘দিদিমনি খুব ভাল পড়ান। নিয়মিত ক্লাসও নেন।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শিক্ষিকাকে সমর্থন করার ‘অপরাধে’ বৈঠকের পরেই এক ছাত্রীকে মারধর করেন স্থানীয় নিমো ১ পঞ্চায়েত সদস্য কাকলি সিংহ রায় ও তাঁর স্বামী হিরা সিংহ রায়। অন্য ছাত্রীরা রুখে দাঁড়ালে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ক আবু হাসেম মণ্ডলও মেনে নেন, “পঞ্চায়েত সদস্য ছাত্রীদের মেরেছে বলে শুনছি।” মেমারির কংগ্রেস নেতা সেলিম মোল্লার আক্ষেপ, “ভাবতেও অবাক লাগছে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর নেতৃত্বে ছাত্রীদের মারধর করা হল।” তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন, “বেশ কয়েক জন ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছে শুনেছি। বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ মানা যায় না। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন