নানান দাবি নিয়ে স্কুল স্তর থেকে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বহু বার আন্দোলন করেছেন। লাঠির ঘা খেতে হয়েছে তাঁদের অনেককে। পড়ুয়াদের হাতেও জখম হয়েছেন কয়েক জন।
এ বার নজিরবিহীন ভাবে সেই আন্দোলনের পথেই নেমে পড়লেন শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি)-র শিক্ষকেরা। সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রিলে অবস্থান করেন তাঁরা। ওই প্রতিষ্ঠানে এই প্রথম শিক্ষকেরা রাতভর অবস্থান করলেন। তবে তাঁদের আন্দোলনে ছেদ পড়েনি পঠনপাঠনে।
পরীক্ষাগারের উন্নয়ন, পড়ুয়াদের থাকা ও বসার ঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় সরকারের বেতনহার অনুযায়ী বেতন এবং অন্যান্য দাবিতে তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে জানান আইআইইএসটি-র শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক সুশান্ত পাড়ুই। আন্দোলনে যোগ দিয়েছে শিক্ষাকর্মী সংগঠনও।
সুশান্তবাবু জানান, ২০১৪ সালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে আইআইইএসটি হয় এই প্রতিষ্ঠান। তখন থেকেই এটি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসে। সেই নিয়ম মেনে তার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্কেলেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন পাওয়ার কথা। সুশান্তবাবু জানান, বেতনের ‘বেসিক’ অর্থাৎ মূল বেতন রয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের পুরনো হারেই। মহার্ঘ ভাতা কেন্দ্রের আদলে। বেতন দিচ্ছে কেন্দ্র, তা হলে বেসিক কেন রাজ্য সরকারের স্কেল অনুযায়ী হবে— বিক্ষোভ মূলত এই নিয়েই। প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতেই এই অবস্থা বলে তাঁদের অভিযোগ।
প্রতিষ্ঠানের বিদায়ী অধিকর্তা অজয় রায় বলেন, ‘‘আমি আর অধিকর্তা থাকছি না। তাই এই বিষয়ে আমার কিছু বলার এক্তিয়ার বা ক্ষমতা নেই।’’ সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘শুনেছি, বেতনের বিষয়ে তড়িঘড়ি কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কোনও নথিপত্র পাইনি। নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। বুধবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’