দায় এড়ালেন দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক

দাড়িভিট হাইস্কুলে যে বিষয়টি নিয়ে এত কাণ্ড, শিক্ষকদের সেই নিয়োগ নিয়ে নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু। উল্টে তিনি দায় চাপালেন তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের উপর।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

আলোচনা: দাড়িভিট স্কুল খোলা নিয়ে ইসলামপুরে বৈঠক করলেন ডিআই, বিডিও। ছিলেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডুও। নিজস্ব চিত্র

প্রধান শিক্ষক একরকম কথা বললেন। আর ঠিক উল্টো কথা বললেন সাসপেন্ড হওয়া স্কুল পরিদর্শকের ঘনিষ্ঠ মহল।

Advertisement

দাড়িভিট হাইস্কুলে যে বিষয়টি নিয়ে এত কাণ্ড, শিক্ষকদের সেই নিয়োগ নিয়ে নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু। উল্টে তিনি দায় চাপালেন তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের উপর। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ করাতে তৎকালীন স্কুল পরিদর্শকই চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাই তাঁর কিছু করার ছিল না। তবে সাসপেন্ড হওয়া পরিদর্শক নিজে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রধান শিক্ষকই পরিদর্শককে ওই দুই শিক্ষকের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। প্রধান শিক্ষকের কথা মেনেই তিনি নিয়োগের চিঠি পাঠান।

সোমবার ইসলামপুরের বিডিও অফিসে স্কুল খোলার জন্য ডাকা বৈঠকে প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশ। প্রধান শিক্ষক যথাযথ উত্তর দিচ্ছেন না বলে সরব হন তাঁরা। তবে বৈঠকে স্কুল খোলা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ, মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক সুজিতকুমার মাইতি স্কুলের মাঠে শিক্ষক-পরিচালন সমিতির সদস্য এবং অভিভাবকদের নিয়ে ফের বৈঠক ডেকেছেন। এ দিনের বৈঠকে সকলেরই প্রশ্ন ছিল, নতুন নিয়োগপত্র পাওয়া দুই শিক্ষককে দাড়িভিট স্কুলে নিয়োগ করা হবে না বলে ১৮ সেপ্টেম্বর স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার পরও কেন ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের স্কুলে নিয়োগের জন্য ডাকা হয়? প্রধান শিক্ষক প্রথমে জানান, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর আরও একটি বৈঠক হয়েছিল। যদিও অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, আদৌ সে ধরনের কোনও বৈঠক হয়নি। প্রধান শিক্ষক ফের জানান, ২০ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ করাতে তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাই তাঁর কিছু করার ছিল না।

Advertisement

এ ব্যাপারে ঘটনার পর তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ কিছু বলতে চাননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকই স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কনভারশন অনুমোদন করে ওই দুই শিক্ষকদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। না হলে তিনি অসুবিধায় পড়বেন বলেও পরিদর্শককে জানান। পরদিন স্কুল পরিদর্শকের দফতরে লোক পাঠান চিঠিটি আনাতে। এর পরেই স্কুল পরিদর্শক প্রধান শিক্ষকের কথা মেনে চিঠি দেন।

বৈঠকের পর ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক সুজিতকুমার মাইতি বলেন, ‘‘স্কুল খোলার বিষয় নিয়ে এ দিন প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্কুল মাঠেই বৈঠক হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন