বালুরঘাটের বাড়িতে আঙুল হারানো শিশু কোলে ঠাকুমা যামিনী মণ্ডল। ছবি: অমিত মোহান্ত
জোড়া লাগেনি কাটা আঙুল। ক্ষত শুকোনো ছাড়া কলকাতার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ১৬ দিনের শিশুকন্যার আর কোনও চিকিৎসা হয়নি। এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পর হতাশা ছাপিয়ে গিয়েছে ক্লান্তিকে। শিশুর বাবা বাবলা মণ্ডলের প্রশ্ন, ‘‘তখনই জানতাম, আঙুল জোড়া লাগবে না। কেন অতদূর নিয়ে যাওয়া হল?’’
গত ১২ জুলাই রাতে বালুরঘাট হাসপাতালে এক নার্সের ভুলে বুড়ো আঙুল কাটা যায় শিশুর। রাত দু’টো নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। চিকিৎসা না মেলায় আবার বালুরঘাটেই ফিরে আসেন তাঁরা। এর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৪ জুলাই রওনা হন কলকাতায়।
এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তির পর হাসপাতাল চত্বরে বিশ্রামাগারে পাঁচ দিন ছিলেন শিশুটির বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বাবলাবাবুর এক বন্ধু। সোমবার হাসপাতাল ছুটি দেওয়ার পরে রাতেই গৌড় এক্সপ্রেসে ওঠেন তাঁরা।
এ দিন বালুরঘাট স্টেশন থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে দাসুল গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে বাবলাবাবু বলেন, ‘‘কাটা আঙুলের ক্ষত শুকনো ছাড়া অন্য কোনও চিকিৎসা হয়নি। পাঁচ জন চিকিৎসক নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের এক জন, মাত্র এক দিন আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কী চিকিৎসা হল তা-ও জানতে পারলাম না।’’ তিনি জানান, এসএসকেএম-এর চিকিৎসকেরা ছ’ মাস পর আবার যেতে বলেছেন, প্লাস্টিক সার্জারির জন্য।
এ দিকে অভিযুক্ত নার্স গ্রেফতার হয়নি শুনে আরও ক্ষুব্ধ হন বাবলাবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ছাড়ব না।’’ ওই নার্সের তরফে মিটমাটের জন্য তাঁর কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি, জানান তিনি।