Malda Murder

রাস্তায় পড়ে থাকা অর্ধনগ্ন সেই তরুণীর দেহ শনাক্তই হল না! উল্টে আরও প্যাঁচে পড়ল মালদহের পুলিশ

রবিবার সকালে বিহার লাগোয়া মালদহের একটি ব্লকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে রহস্য দানা বেঁধেছিল। তার তদন্তে নেমে চাঁচল থানা এলাকার বাসিন্দা এক বধূর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানতে পারল পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মুখ পোড়ানো হয়েছে। সারা শরীরেও একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ক্ষত। পাকা রাস্তার ধারে পড়ে ছিল দেহটি। রবিবার সকালে বিহার লাগোয়া মালদহের একটি ব্লকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে রহস্য দানা বেঁধেছিল। তার তদন্তে নেমে চাঁচল থানা এলাকার বাসিন্দা এক বধূর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানতে পারল পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সেই নিখোঁজ বধূর পরিবারকে উদ্ধার হওয়া দেহ শনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বধূর স্বামী জানান, ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী নন।

Advertisement

বিহার ঘেঁষা এলাকায় তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের একাংশ মনে করেছিলেন, ওই তরুণী পড়শি রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারেন। সেই মতো জেলার বিভিন্ন থানার পাশাপাশি বিহারের পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চাঁচল থানা এলাকার এক বধূ গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তরুণীর মুখচ্ছবি এবং তাঁর পরনে থাকা কাপড় নিয়ে নিখোঁজ বধূর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই কাপড় নিখোঁজ বধূর হলেও হতে পারে। সেই মতো পরিবারের লোককে দেহ শনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়েছিল। পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ওই বধূর স্বামী যান। সেখানে দেহ দেখার পর তিনি তদন্তকারীদের জানান, ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী নন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে নিখোঁজ বধূর শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ি দুই পরিবারের সঙ্গেই কথা বলা হয়। শ্বশুরবাড়ির দাবি, দিন কয়েক আগে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বধূ। অন্য দিকে বাপের বাড়ির পরিবারের দাবি করেছে, মেয়ে তাদের বাড়িতে আসেনি। স্বামীর কাছেই রয়েছে। ফলে তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের । তাঁর স্বামীও সত্যি কথা বলছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

রবিবার সকালে পাকা রাস্তার পাশে তরুণীর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত পড়ে ছিল। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় গর্ভনিরোধকের প্যাকেট, লঙ্কার প্যাকেট ও একটি ছুরি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ, যুবতীকে গণধর্ষণের পর খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অ্যাসিড দিয়ে বা শুকনো খড় জ্বেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তরুণীর মুখ। যে ভাবে তরুণীর মুখ পুড়িয়ে, ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, তাতে পুরনো আক্রোশ বা অন্য কারণ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন