Calcutta Medical College

মেডিক্যালে অচলাবস্থা! সমস্যা এড়িয়ে অবিলম্বে শিশুর অস্ত্রোপচারের নির্দেশ হাই কোর্টের

মেডিক্যাল কলেজে চলা পরিস্থিতির জন্য ৭ বছরের সন্তানের কিডনি বাদ দিতে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিহারের এক বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২৮
Share:

অচলাবস্থা কাটিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক শিশুর অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।

অচলাবস্থা কাটিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক শিশুর অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, মামলকারীর শিশুর অস্ত্রোপচার নির্বিঘ্নে হবে তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনরত ছাত্রদের। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে হবে। কোনও বাধা যেন না আসে। যদিও বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাই কোর্ট। নির্দিষ্ট এই মামলার ক্ষেত্রে বাধাহীন ভাবে চিকিৎসা করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে বিচারপতি ভট্টাচার্যের মন্তব্য, "পরিস্থিতি যাই হোক হাসপাতালে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হওয়া উচিত নয়।"

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজে চলা পরিস্থিতির জন্য ৭ বছরের সন্তানের কিডনি বাদ দিতে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিহারের এক বাসিন্দা। এই মামলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, ছাত্র বিক্ষোভের জন্য সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে রোগী পরিষেবা কিছু ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে। আর ছাত্ররা জানান, পরিষেবা থমকে যায় এমন কিছু করা হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালের কাজকর্ম চলছে। যদিও বিক্ষোভের কারণেই প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে না বলে বার বার দাবি করেন কর্তৃপক্ষ।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত ৫ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই শিশুটি। চিকিৎসকরাই বলছেন অস্ত্রোপচার জরুরি। এই অবস্থায় অন্য কোনও কারণ বাধা হতে পারে না। হাই কোর্টের নির্দেশ, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে ওই শিশুর অস্ত্রোপচার করতে হবে। সব পক্ষই তা নিশ্চিত করবে। প্রসঙ্গত, অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে কি না তা জানতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিচারপতির মন্তব্য, "আমি চাই এই নির্দেশ সবার জন্য কার্যকর হোক, কিন্তু যে হেতু এটা কোনও জনস্বার্থ মামলা নয়। তাই এই নির্দেশ দিতে পারি না।"

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন