নীরব তৃণমূল, কালো পতাকা বাম-কংগ্রেসের

সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি, কৃষকদের সমস্যা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ধোঁকা দিচ্ছেন। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০২:২৯
Share:

মোদীকে কালো পতাকা। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র

আগাম ঘোষণা ছিল। সেই মতো সোমবার মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কালো পতাকা দেখালেন সিপিএমের ছাত্র ও যুব কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে কালো পতাকা দেখিয়েছে কংগ্রেসও। উঠেছে ‘গো ব্যাক মোদী’ স্লোগান। বৃষ্টি ভিজে নিরাপত্তার ফাঁক গলেই হয়েছে দুই বিরোধী দলের এই কর্মসূচি।

Advertisement

সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি, কৃষকদের সমস্যা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ধোঁকা দিচ্ছেন। আমাদের প্রতিবাদ এখানেই।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সমীর রায়েরও দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’ বিরোধীদের এই প্রতিবাদকে অবশ্য আমল দিচ্ছে না বিজেপি। দলের রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম আছে কোথায়? দুই দলই তো মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। এ সব প্রচারে আসার চেষ্টা, সৌজন্যবোধের অভাব।’’

এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছনোর আগে থেকেই কেরানিতলার অদূরে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। মোদীর কনভয় এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। কিছু দূরে জড়ো হয়েছিলেন কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা। তাঁরাও বিক্ষোভ দেখান। হেলিকপ্টারে রাঙামাটিতে নামেন মোদী। সেখান থেকে কেরানিতলার উপর দিয়েই তাঁর কনভয় সভাস্থলে পৌঁছয়। কেরানিতলার কাছে যেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে, সেখানে অবশ্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন ছিল। কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। মোদীকে দেখার জন্য রাস্তার পাশে ভিড় ছিল। সেই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মোদীর কনভয় যাওয়ার সময়ে আচমকাই তাঁরা ভিড় ঠেলে সামনে এসে কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। ‘গো ব্যাক মোদী’ স্লোগান দেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

রবিবার মোদীর সভাস্থলের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল। পোড়ানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল। তবে সেই কুশপুতুল পুতুল পোড়ানোর নেতৃত্বে থাকা মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা পরে দলের অভ্যন্তরে ভর্ৎসিত হন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেন, এমন বিক্ষোভে দলের অনুমোদন নেই। এ দিন মেদিনীপুরে তৃণমূলের তরফে মোদী বিরোধী কোনও বিক্ষোভও হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন