বৈঠকের পরদিনই ভিড়ে ঠাসা লালকুঠি

সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষ কিছু দফতরে বেতন দেওয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

নবান্নের বৈঠকের প্রভাব পড়তে শুরু করল দার্জিলিঙের লালকুঠিতে।

Advertisement

মঙ্গলবার পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বন্‌ধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এর পরে বুধবার সকাল থেকেই লালকুঠিতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। জিটিএ-র এই অফিস থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় ১৮ হাজার কর্মীর কাজকর্ম। এ দিন অনেকেই জিটিএ-সচিব সি মুরুগানের অফিসে এসে বকেয়া বেতনের দরবার করেন। নিয়মিত কাজে আসার প্রতিশ্রুতিও দেন। ভিড় ছিল জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তের অফিসেও। হাজিরাও ছিল বেশি। জেলাশাসকের কথায়, ‘‘আলোচনা শুরু হওয়াতেই কর্মীরা আসছেন। এটা ইতিবাচক।’’ যদিও গত ৭৯ দিন কিছু অফিসার ছাড়া সরকারি অফিসে কেউ আসেননি। চালকেরাও কাজে না আসায় নিজেরা গাড়ি চালিয়ে অফিস করেন তাঁরা।

সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষ কিছু দফতরে বেতন দেওয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নবান্ন ১৮ হাজার কর্মচারীর জন্য বছরে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে। ৭৯ দিনের বন্‌ধে তা জট পাকিয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে অনেকেই ভাবছেন জটিলতা কাটছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের খবর, কার্শিয়াং থেকে সোনাদা পর্যন্ত দোকান-বাজার খুলেছে। কিন্তু বুধবারেও দার্জিলিং বন্ধই ছিল। এক কর্তার কথায়, ‘‘মানুষের হাতে টাকা নেই। দোকান খুললেও বিক্রি হবে না ভেবে অনেকে দোকান খুলছেন না।’’

বৈঠক-ফেরত নেতারা বন্‌ধ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই সকলে তাকিয়ে। কিন্তু বন্‌ধ উঠবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না সরকারের অন্দরেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন