পলি তুলতে দেরি, ফেরি-সঙ্কট সাগরে

দিন কুড়ি পরেই সাগরমেলা। কিন্তু গঙ্গাসাগরে বচ্ছরকার ওই পুণ্যার্থী সমাগমের সময় মুড়িগঙ্গায় ফেরি চলাচল এ বার আদৌ মসৃণ হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৩১
Share:

— ফাইল চিত্র।

দিন কুড়ি পরেই সাগরমেলা। কিন্তু গঙ্গাসাগরে বচ্ছরকার ওই পুণ্যার্থী সমাগমের সময় মুড়িগঙ্গায় ফেরি চলাচল এ বার আদৌ মসৃণ হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সাগরমেলার সময় বার্জে চেপে প্রায় আড়াই হাজার যানবাহন সাগরদ্বীপে যায়। সেই সব বার্জকে জায়গা দিতে পলি তোলা হয় ফি-বছরই। কিন্তু এ বছর পলি তোলার কাজ এখনও অনেকটা বাকি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।

রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে মুড়িগঙ্গায় পলি তোলার কাজ শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হয়ে যায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে। ৭ থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে বার্জে যানবাহন বহন শুরু হয়ে যায়। ৯ জানুয়ারি থেকে তীর্থযাত্রীরা আসতে শুরু করেন। গত ৫-৬ বছর ধরে সেই পলি তোলার কাজ করছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সাগরমেলার সময় গাড়ি, বাস এবং পণ্যবাহী লঞ্চ যাতে অবাধে নদী পারাপার করতে পারে, তার জন্য একটি নির্দির্ষ্ট পথেই পলি তোলার কাজ করা হত।

Advertisement

এ বার নবান্ন থেকে রাজ্যের সেচ দফতরকে সেই ভার দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শুধু সাগরমেলার সময়েই নয়, সারা বছরই মুড়িগঙ্গার নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। এই প্রকল্পে ১৩৩ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। আগামী সাত বছর ধরে প্রকল্পের কাজ চলবে। দায়িত্ব পেয়ে নদীপথের পলি তোলার কাজের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করেছে সেচ দফতর। সেই সংস্থার পরামর্শেই পলি তোলার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে।

সেচ দফতরের সূত্র জানাচ্ছে, ১ নভেম্বর কাজের বরাত দেওয়া হয় ড্রেজিং কর্পোরেশনকে। তারা মাত্র একটা ড্রেজার এনে কাজ করছে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেও তেমন কাজ হয়নি। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র অবশ্য বলেন, ‘‘একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে কাজ হচ্ছে। ওড়িশার ধামাড়া বন্দর থেকে শক্তিশালী ড্রেজার আসছে। মেলার আগে গাড়ি পারাপার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার এক কর্তার আশ্বাস, ‘‘৭ জানুয়ারির আগে সাগরমেলার জন্য প্রয়োজনীয় পলি তোলার কাজ হয়ে যাবে।’’

তবে পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়, দৈনিক লঞ্চের আট থেকে ১০টি ট্রিপ করা যায়। প্রতি ট্রিপে ১০-১২টি বড় বাস বা ১৫-১৮টি লরি, ছোট গাড়ি বহন করার সুযোগ থাকে। ভাটার সময় বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। তাই হাতে বেশি দিন সময় থাকলে বেশি গাড়ি সাগরদ্বীপে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই অবস্থায় পলি তোলার কাজটা তাড়াতাড়ি হলেই ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন