Ban on Firecracker Factories

ক্লাস্টারের আগে বাজি কারখানা বন্ধের দাবি

সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির আগে সব ধরনের বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ করে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্য সরকার সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কি দত্তপুকুর, এগরার মতো ঘটনাই ভবিতব্য? বেআইনি বাজি কারখানা কি ক্লাস্টার তৈরির আগে বন্ধ হবে না?— এমনই প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। এমনকি, সুপ্রিম কোর্ট ও পরিবেশ আদালতের রায় সত্ত্বেও তা কার্যকর না হওয়ায় আদালতের অবমাননা করা হচ্ছে বলেও দাবি একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের। বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছে ওই সংগঠন।

Advertisement

গত রবিবার দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। তার পরে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির আগে সব ধরনের বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ করে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত জানান, সুপ্রিম কোর্ট এই ধরনের বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা মেনে চলা হচ্ছে না। সরকার কর্তৃক এই বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ না করাটাই শীর্ষ আদালতের অবমাননা বলে দাবি করছেন তিনি। বলছেন, ‘‘বিস্ফোরক ব্যবহার হয় যেখানে, তা কখনওই কুটির শিল্প হতে পারে না। সবুজ বাজি তৈরি করতে হলেও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে, এই ভেবে যদি ক্লাস্টার শুরুর আগে পর্যন্ত বেআইনি বাজি কারখানা চলতে দেওয়া হয়, তবে এগরা, দত্তপুকুরের মতো আরও ঘটনা দেখতে হতে পারে। সেটা আরও অমানবিক হবে।’’

ওই সংগঠনের দাবি, এর আগে এক বার সরকার ঘোষণা করেছিল যে, সব ধরনের লাইসেন্স নিয়ে মাত্র সাতটি বাজির কারখানা চলছে। তা সত্ত্বেও কেন রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার বেআইনি বাজির কারখানা চলবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠন।

Advertisement

‘সবুজ মঞ্চ’-এর যুগ্ম সচিব শশাঙ্ক দেব বলেন, ‘‘এমন ভাবার কারণ নেই যে, আমরা বাজি কারখানার বিরোধিতা করে মানুষের রোজগার বন্ধ করতে চাই। কিন্তু এ ভাবে রোজগারের রাস্তা খোলা রাখতে গিয়ে মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলার কোনও যুক্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন