পাহাড়ে কিছু দফতরে বেতন দিচ্ছে সরকার

একই ভাবে বন্‌ধ শুরুর আগে পাহাড়ে বিলির জন্য আসা ৪০ হাজার মুরগির ছানা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা। তাঁদেরও নিয়মিত অফিস করার প্রমাণ মিলেছে। ফলে বেতন পেয়েছেন তাঁরাও। নবান্ন সূত্রে খবর, পাহাড়ে খাদ্য সরবরাহ চালু রাখার কথা ভেবে এই দফতরের কর্মীদের বেতনও দিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ে সরকারি কর্মীরা আসতে শুরু করায় সরকারও ধীরে ধীরে বেতন আটকে রাখার প্রক্রিয়া থেকে সরতে শুরু করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, বিশেষ বিশেষ কিছু দফতরের কর্মীদের বেতন মেটানো শুরু হয়েছে।

Advertisement

জুন-জুলাই মাসে কেবলমাত্র পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র-হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মীদের বেতন দিয়েছে রাজ্য। অন্য কোনও কর্মীর বেতন দেওয়া হয়নি। কিন্তু এ বার সে অবস্থান থেকে সরছে রাজ্য। মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকের পরে সরকারি কর্মীরা অফিসমুখো হতে শুরু হওয়ায় বন, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের বেতনও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক জিটিএ কর্তা জানান, আগের বন্‌ধের সময় বন দফতরে জমা থাকা বিপুল পরিমাণ কাঠ চুরি হয়ে গিয়েছিল। কাঠ বিক্রি করে আন্দোলনের টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল মোর্চার বিরুদ্ধে। এ বার রেঞ্জার এবং বনকর্মীরা প্রাণ বাজি রেখে কাঠ রক্ষা করতে পেরেছেন। সে জন্য বন দফতরের সম্পত্তিই সব চেয়ে বেশি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাল কাজ করায় বনকর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে বন্‌ধ শুরুর আগে পাহাড়ে বিলির জন্য আসা ৪০ হাজার মুরগির ছানা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা। তাঁদেরও নিয়মিত অফিস করার প্রমাণ মিলেছে। ফলে বেতন পেয়েছেন তাঁরাও। নবান্ন সূত্রে খবর, পাহাড়ে খাদ্য সরবরাহ চালু রাখার কথা ভেবে এই দফতরের কর্মীদের বেতনও দিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

নবান্ন সূত্রের দাবি, কয়েকটি দফতরে বেতন দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তার ফলও মিলেছে। বুধবার লালকুঠিতে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষার ডিসট্রিক্ট ইনস্পেক্টররা জিটিএ সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও জিটিএ অফিসে আসেন। তাঁরা সকলেই কাজ শুরুর কথা জানিয়ে গিয়েছেন। জিটিএ-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাজ শুরু হলে জেলাশাসকের কাছে বেতন দেওয়ার কথা বলা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন