Health Department

দু’বছরে যক্ষ্মা-মুক্ত বাংলা

পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই বিষয়টি নিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত দফতর। কেন্দ্রীয় ভাবে এই রোগকে পঞ্চায়েত উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ০৬:১৬
Share:

স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।

আগামী দু’বছরের মধ্যে ‘যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যের অন্তত ৭০ শতাংশ পঞ্চায়েত যাতে যক্ষ্মা মুক্ত হয়, তাতে জোর দিতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। কর্তারা জানাচ্ছেন, ‘যক্ষ্মা মুক্ত পঞ্চায়েত’ গড়ার একমাত্র উপায় হল গ্রামের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত ওই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যাতে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রান্তিকস্তর থেকেও রোগটিকে নির্মূল করা যায়।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই বিষয়টি নিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত দফতর। কেন্দ্রীয় ভাবে এই রোগকে পঞ্চায়েত উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন না হলেও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কারণ পুরো কাজটাই হবে পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক স্তরে। স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কর্মসূচির শেষে পঞ্চায়েতগুলি নিজে থেকেই ‘আমরা টিবি-মুক্ত’ বলে দাবি করবে। প্রথমে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ও পরে জেলা স্তরে সেই দাবি খতিয়ে দেখার পরেই স্বাস্থ্য এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর যক্ষ্মা মুক্তের তকমা দেবে। তবে যক্ষ্মা মুক্ত দাবি করার মাপকাঠিও নির্ধারণ করে দিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের অধিকর্তা শুভাঞ্জন দাস। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি বছরে হাজার মানুষ পিছু অন্তত ৫০ জনের যক্ষ্মা পরীক্ষা করতে হবে। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কিংবা তার কম হলে তবেই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত নিজেদের যক্ষ্মা মুক্ত বলে দাবি করতে পারবে। যদিও তার আগে রোগীদের স্ক্রিনিং করা, সম্পূর্ণ চিকিৎসা করানোও বাধ্যতামূলক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন