মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের ঋণ-ভার বাম জমানার তুলনায় প্রতি বছরই কমছে বলে বুধবার দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এ দিন বিধানসভায় বাজেট অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেন, রাজ্য ক্রমেই ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে। সেই দাবি খারিজ করে অমিতবাবু বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। ফলে বেড়েছে অর্থনীতির বহর। সেই সূত্র ধরেই কমছে ঋণের চাপ।
বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন আমলা সুখবিলাস বর্মা বলেন, কেন্দ্রীয় করের প্রাপ্য টাকা, অনুদান এবং ঋণ নিয়েই সরকার চলছে। হিসাবের কোনও শৃঙ্খলা নেই। ঋণের ফাঁদ থেকে রাজ্যকে বের করে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই। ২০১০ সালে যেখানে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। সেই ঋণই এখন দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকায়।
পাল্টা পরিসংখ্যান পেশ করে অমিতবাবু বলেন, ২০১০-’১১ সালে ঋণ ও রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের অনুপাত ছিল ৪০.৬৫%। ২০১৭-’১৮ সালে তা কমে হবে ৩২.৫৮%। অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, উন্নয়ন এবং সম্পদ সৃষ্টিকারী প্রকল্পে বিপুল টাকা খরচ করার ফলে রাজ্যের অর্থনীতির বহর বেড়েছে। সেই কারণে বেড়েছে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনও। ফলে এখন যে ঋণ নিতে হচ্ছে তা রাজ্যের বেড়ে চলা অর্থনীতির তুলনায় কমই বলে দাবি করেন তিনি।