Fire Crackers

বাইপাসে আতশবাজি হাবের জায়গা চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর সূত্রের খবর, কলকাতার পুরসভা এলাকার অধীনে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছের একটি জমিকে আতশবাজি হাব তৈরি করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ১৪:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আতশবাজি হাবের জায়গা চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের আধিকারিক ও আতশবাজির ব্যবসায়ীরা ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা একটি জায়গা দেখে এসেছেন। দফতর সূত্রে খবর, ওই জমিটিই আতশবাজি ব্যবসায়ীদের হাব তৈরির কাজের জন্য দেওয়া হবে।

Advertisement

এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটে। সেই ঘটনায় মারা যান ৮ জন। অভিযোগ ওঠে, বেআইনি ভাবে আতশবাজি তৈরি করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জেরে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আতশবাজির কারখানাগুলিতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন। আতশবাজির কারখানাগুলিতে এ হেন পুলিশি আচরণের প্রতিবাদে সরব হন আতশাবাজি ব্যবসীয়ার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আতশবাজি কারখানাগুলির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কয়েক লক্ষ মানুষের রুটিরুজি জড়িত। পুলিশ যদি আতশবাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তা হলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামবেন।

তার পরেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে আতশবাজি হাব তৈরি করা হবে। হাব গড়তে একটি কমিটিও গড়ে দেন তিনি। সেই কমিটিতে রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে রাখা হয়েছিল আতশবাজি ব্যবসায়ীদেরও। সেই কমিটি গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বৈঠক করে হাব গড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে।

Advertisement

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার পুরসভা এলাকার অধীনে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছের একটি জমিকে হাব তৈরি করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মোট ৮০ জন আতশবাজি ব্যবসায়ীকে এই হাবে জায়গা দেওয়া হবে। যেখানে তাঁরা একটি দোকানের পাশাপাশি একটি গুদামঘর তৈরি করতে পারবেন। মোট ৮ বিঘা জমির ওপর তৈরি হবে এই হাবটি। দফতর সূত্রে খবর, কালীপুজোর পরেই নতুন এই হাব তৈরির কাজ শুরু হবে। এই হাব তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার, বাকি ১০ শতাংশ দেবেন আতশবাজি ব্যবসায়ীরা।

সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বাবলা রায় বলেন, ‘‘আমরা খুশি যে, রাজ্য সরকার আতশবাজি ব্যবসার কথা মাথায় রেখে হাব গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আমরাও সব রকম সহযোগিতার হাত রাজ্য সরকারের দিকে বাড়িয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, দীপাবলি ও কালীপুজোর আগে শহিদ মিনারের কাছে ময়দানে প্রতি বছর আতশবাজির মেলা বসে। এ বার আতশবাজি ব্যবসায়ীরা তাঁদের মেলার আয়োজন করতে চান প্রস্তাবিত আতশবাজি হাবের জন্য নির্ধারিত জায়গায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন