RG Kar Rape And Murder Case

আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা থেকে সরে গেল সুপ্রিম কোর্ট! সব বিষয়ই এ বার বিচার করে দেখবে কলকাতা হাই কোর্ট

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ আরজি কর মামলার কাগজপত্র হাই কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে এই মামলার স্টেটাস রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

এ বার আরজি কর মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ এবং খুন সংক্রান্ত সেই মামলা কলকাতা হাই কোর্টে পাঠিয়ে দিল তারা। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এ বার থেকে আরজি কর মামলার শুনানি হাই কোর্টেই হবে।

Advertisement

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ আরজি কর মামলার কাগজপত্র হাই কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।পাশাপাশিই, নির্যাতিতার বাবা-মাকে এই মামলার স্টেটাস রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।

২০২৪ সালের ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনার পরের দিনই কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে প্রাথমিক ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার পরেও শীর্ষ আদালত একাধিক আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে ছিল আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাসপাতালে অনুপস্থিতির মতো ঘটনাও। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা করার পরে গত বছরের ২০ আগস্ট জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রোটোকল তৈরির জন্য ওই উদ্যোগ।

Advertisement

ঘটনাক্রমে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ আদালত। তাতে দোষী সাব্যস্ত হন সঞ্জয়। ২০ জানুয়ারি তাঁর আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। কিন্তু শিয়ালদহ আদালত রায় দেওয়ার আগে হাই কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়। যদিও বিচারপতি ঘোষ সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের ওই আবেদন শুনতে চাননি। কারণ, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আরজি কর মামলা চলছিল। এর পরে শীর্ষ আদালতেও একই আবেদন করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তা নিয়ে শুনানিও হয়। কিন্তু একই আবেদন নিয়ে কেন সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি হবে? প্রশ্ন তোলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। তাঁর বক্তব্য ছিল, একই আবেদনের প্রেক্ষিতে দু’টি আদালতে শুনানি চলতে পারে না। হয় উচ্চ আদালত শুনবে, নয় তো শীর্ষ আদালত।

মাত্র দু’দিন আগে কন্যার ধর্ষণ-খুনে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। প্রৌঢ় দম্পতির দাবি, অপরাধে এক নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত। গত সোমবার নির্যাতিতার মা জানান, আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই তাঁদের। মেয়ের মৃত্যুর বিচার ছিনিয়ে আনবেন। প্রয়োজনে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন। স্ত্রীর কথায় সায় দেন কন্যাহারা পিতাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement