বিধানসভার চলতি অধিবেশনের মেয়াদ এক দিন বাড়ল। শেষ দিনে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বাড়বাড়ন্তের প্রতিবাদে সর্বদল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। চা-বাগানের পরিস্থিতি এবং ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আরও দু’টি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে সে দিন। আগেকার সূচি অনুযায়ী, অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ, বৃহস্পতিবারই। কিন্তু বুধবার কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অধিবেশন চলবে কাল, শুক্রবার পর্যন্ত। পঞ্চায়েত দফতরের তিনটি বিল পেশ হবে সে দিন। তার মধ্যে পঞ্চায়েত সদস্যদের বিধায়ক ও সাংসদ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনীও থাকবে। বিল-পর্বের পরে আলোচনা হবে তিনটি প্রস্তাব নিয়ে। যার মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতায় প্রস্তাবটি তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস যৌথ ভাবে খসড়া করছে। চা-বাগানের প্রস্তাব আনবে বামেরা। আর ‘কন্যাশ্রী’র জন্য অভিনন্দন সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পেশ করবে সরকার পক্ষই।
সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী প্রস্তাব অবশ্য প্রকৃত অর্থে সর্বদল হচ্ছে না। কারণ, বিজেপি-র বিধায়কেরা ওই প্রস্তাবের বক্তব্যের বিরোধিতা করবেন। বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে প্রস্তাবের খসড়ায় এ দিনই সই করে দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একসঙ্গে প্রস্তাব আনলেও আলোচনার সুযোগে রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতিতে মদতের জন্য তৃণমূলকেও বিঁধতে চায় বাম ও কংগ্রেস। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময়ে উপস্থিত না-ও থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি-র তরফে বক্তৃতা করার কথা স্বাধীন সরকারের।