BJP

বিজেপির কোন্দলে নানা মত সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপদের

সুকান্তের শাস্তির দাওয়াই নিয়েও শুক্রবার দিলীপ বলেন, ‘‘শাস্তি কোনও সমাধান হতে পারে না। ওদের ডেকে কথা বলা উচিত।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সাংগঠনিক রদবদল ঘিরে এক দিকে যখন রোজই হুলুস্থুল বাধছে বিজেপির রাজ্য দফতরে, তখন সেই কোন্দল থামানোর পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট ভিন্নমত দেখা দিল রাজ্য নিজের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

Advertisement

টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রি, অযোগ্যদের পদ দেওয়া, স্বজনপোষণ, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে চলা-সহ একাধিক অভিযোগে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একাংশ। সাবেক রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনেন বাইরে বৃহস্পতিবার তাঁরা নেতৃত্বের কুশপুতুল পুড়িয়েছিলেন। ছবিতে লাথি ও জুতো মেরেছিলেন। ওই ঘটনার পরে রাতেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘দল কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে না। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বহিষ্কার করা হবে।’’ তবে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর মতে, “অনেকের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তাঁদের কথা শোনার কেউ নেই।” সুকান্তের শাস্তির দাওয়াই নিয়েও শুক্রবার দিলীপ বলেছেন, ‘‘শাস্তি কোনও সমাধান হতে পারে না। ওদের ডেকে কথা বলা উচিত।’’ আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় এ দিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যে গাছের ফল যত মিষ্টি, সেই গাছে তত ঢিল পড়ে! আমি আর আর রাজ্য সভাপতি আছি। আমরা সামলে নেব।’’ প্রসঙ্গত, যে গাছের ফল মিষ্টি, সেখানে ঢিল পড়ার কথা এর আগে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে!

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমাদের কাছে তো খবর, শুভেন্দুই এগুলো লোক পাঠিয়ে করাচ্ছেন! কারণ, শুভেন্দুর লক্ষ্য ছিল সুকান্তকে সরিয়ে সভাপতি হওয়া। শুভেন্দু যে দলটাকে শুধু দখল করে নিতে চাইছেন তা-ই নয়, দলের এই কর্মীদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে চাইছেন।’’ দলে ভিন্নমত নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের যুক্তি, ‘‘সব মতই মত। তবে পথ একটাই—সঙ্ঘবদ্ধ বিজেপি।’’

Advertisement


(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন