খরচ নিয়ে বাদানুবাদ শ্রমমন্ত্রী ও বিরোধীদের

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ঠিক বলছেন, নাকি শ্রম দফতরের স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট ঠিক কথা বলছে, তা নিয়েই মঙ্গলবার সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা। শ্রম দফতরের বাজেট ছিল এ দিন। বাজেট নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘গত ২০ মে শ্রম দফতরের স্থায়ী সমিতির রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪-’১৫ সালের সংশোধিত বাজেটে ৭৩২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩১২ কোটি টাকা খরচই করতে পারেনি শ্রম দফতর।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০৩:৩১
Share:

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ঠিক বলছেন, নাকি শ্রম দফতরের স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট ঠিক কথা বলছে, তা নিয়েই মঙ্গলবার সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা।

Advertisement

শ্রম দফতরের বাজেট ছিল এ দিন। বাজেট নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘গত ২০ মে শ্রম দফতরের স্থায়ী সমিতির রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪-’১৫ সালের সংশোধিত বাজেটে ৭৩২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩১২ কোটি টাকা খরচই করতে পারেনি শ্রম দফতর।’’

মানসবাবুর মন্তব্য, শ্রম দফতর যদি বরাদ্দের অর্ধেক টাকা খরচ করতে না-পারে, তা হলেই বোঝা যাচ্ছে কেমন হয়েছে দফতরের কাজ!

Advertisement

জবাব দিতে উঠে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘জানি না, মানসবাবু কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন! গত আর্থিক বছরে পরিকল্পনা-বহির্ভূত খাতের সমস্ত টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে। আর পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ ছিল ২২০ কোটি টাকা। কিন্তু খরচ হয়েছে ৩১৫ কোটি।’’

মন্ত্রীর জবাব শুনে কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘‘আপনার দফতরের স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট থেকেই এই তথ্য পেয়েছি। মাত্র সাত দিন আগে সেটি এই সভায় পেশ করা হয়েছে।’’ মানসবাবুর বক্তব্য সমর্থন করেন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ওই স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে আর কথা বাড়াননি মলয়বাবু।

শ্রমমন্ত্রী দাবি করেন, গত চার বছরে রাজ্যে ১০ লক্ষ মানুষের চাকরি হয়েছে। বাম জমানার শেষ বছরে শ্রম দফতরের তরফে মাত্র ন’‌কোটি টাকার সুযোগ-সুবিধার সংস্থান করা হয়েছিল। সেখানে গত চার বছরে ৪২৬ কোটি টাকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement