100 days work

১০০ দিনের কাজের বকেয়া এবং পাওনার অর্থের অঙ্ক নিয়ে বিস্তর ফারাক কেন্দ্র-রাজ্যের

সম্প্রতি পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বকেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে। এর পরই বকেয়া অর্থের বড় অংশ রাজ্য পেতে চলেছে বলে জানায় প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২২
Share:

১০০ দিনের কাজের বকেয়া এবং পাওনা নিয়ে আবারও তৈরি হয়েছে জটিলতা। —ফাইল চিত্র।

১০০ দিনের কাজের অর্থ গত এক বছর ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েক মাস ধরে এমনটাই অভিযোগ করে আসছিল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত দফতর। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার উদ্যোগী হয়ে বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে বার্তালাপ শুরু করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে। সেই উদ্যোগের ফলস্বরূপ পঞ্চায়েত দফতর মারফত বকেয়া অর্থের বড় অংশ পেতে চলেছে বলে জানায় প্রশাসন। কিন্তু বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের হিসেবের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আবারও বকেয়া পাওনা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, গত এক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকারের বকেয়া পাওনা ২ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। আর এমন তথ্যগত অমিলের কারণেই ফের আটকে যেতে পারে রাজ্যের বকেয়া পাওনা।

Advertisement

সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়ার ওই পরিমাণের কথা জানিয়েছে। দু’পক্ষের দাবি প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ দীর্ঘ টানাপড়েনের পর, সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের টাকার বকেয়া নিয়ে সুর নরম করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি আবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে। মূলত তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, গত কয়েক বছরে ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে রাজ্যের শাসকদল। তাই বকেয়া মেটানোর আগে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুক কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে দু’পক্ষের আর্থিক পাওনার পরিমাণে তারতম্য থাকা ১০০ দিনের কাজের অর্থ পাওয়া নিয়ে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে জটিলতা কাটিয়ে বকেয়া পাওনা আদায়ের বিষয়ে আশাবাদী নবান্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন