Partha Chatterjee

জয়েন্ট-নিট নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির প্রশ্ন নেই: পার্থ

প্রস্তুতি তো দূরের কথা, জেইই-নিটের ক্ষেত্রে তাদের কোনও দায়িত্ব আছে বলেই মনে করছে না রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০৩:৫০
Share:

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী রাত পোহালেই ১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা (জেইই) শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে জেইই এবং সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। আজ, সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে সেই মামলা ওঠার কথা। যদি স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তা হলে কাল জেইই শুরু করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। প্রশ্ন উঠছে, নির্দিষ্ট সূচি মেনে ওই প্রবেশিকা পরীক্ষা যদি হয়, সে-ক্ষেত্রে এই রাজ্যের প্রস্তুতি কতটা?

Advertisement

প্রস্তুতি তো দূরের কথা, জেইই-নিটের ক্ষেত্রে তাদের কোনও দায়িত্ব আছে বলেই মনে করছে না রাজ্য সরকার। “এই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের তো কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাই প্রস্তুতির প্রশ্নই ওঠে না। এগুলো তো ওরা এজেন্সিকে দিয়ে করায়,” বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁরা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শরিক বলে জানান পার্থবাবু। তিনি বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। অনেক দূর থেকে বহু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসেন। গ্রাম-মফস্‌সল থেকে এখন তাঁরা কী ভাবে আসবেন, এই নিয়ে আমাদের চিন্তা তো রয়েছেই। তাই পরীক্ষা স্থগিতের আর্জি জানিয়েছি। আমরা আশাবাদী, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিশ্চয়ই দেখবে।”

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, ওই প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষাসচিবকেও কিছু জানায়নি কেন্দ্র। জেইই ও নিট— এই দু’টি ভর্তির পরীক্ষাই নেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। বিভিন্ন রাজ্যে কখন কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সবটাই ঠিক করে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এই সংস্থা। কিন্তু এ বার অতিমারির আগ্রাসী থাবা এড়িয়ে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে পরীক্ষা দেবেন, শিক্ষা শিবির-সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রশ্ন সেটাই।

Advertisement

অনেক দূর থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু গ্রাম-মফস্‌সল থেকে এখন তাঁরা কী ভাবে আসবেন, এই নিয়ে চিন্তা রয়েছেই।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানান, জেলার অনেক পরীক্ষার্থী কলকাতায় থেকে পড়েছেন। প্রবেশিকায় বসার আবেদন করার সময় তাঁরা কলকাতার পরীক্ষা কেন্দ্রই বেছে নেন। তখন তো তাঁরা জানতেন না যে, অতিমারি এত ভয়াবহ হয়ে উঠবে। লকডাউনের জন্য তাঁরা গ্রাম বা জেলা শহরের বাড়িতে রয়েছেন। ‘‘সেখান থেকে ওই পড়ুয়ারা এখন কী ভাবে কলকাতায় আসবেন? গাড়ি ভাড়া করে আসার সামর্থ্য তো সকলের নেই। তা হলে কি গরিব পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় বসার অধিকার হারাবেন,” প্রশ্ন অভীকবাবুর।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় আনলক নিয়ে অসন্তোষ জানাল রাজ্য

আরও পড়ুন: কোন ব্লকে দায়িত্বে কে, ঠিক করলেন মমতা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন