ছত্রধর মাহাতোর মুক্তির দাবিতে মাওবাদী ও জনগণের কমিটির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধে তেমন প্রভাব পড়ল না পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে। রাস্তায় নেমে পুলিশই কার্যত বন্ধব্যর্থ করল।
এ জন্য রবিবার পুলিশের তরফে মাইকে প্রচারও চালানো হয়েছিল। ছিল দোকান খোলা রাখার পুলিশে ফতোয়া। রবিবার ঝাড়গ্রাম শহর-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ বিরোধী মিছিলও করেছিল তৃণমূল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার বেলপাহাড়ি ও লালগড়ের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের উদ্যোগে দোকানপাট খোলানো হয়। যাঁরা দোকান খোলেননি তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ।
সকাল থেকেই বেলপাহাড়ি ও লালগড়ের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সশস্ত্র পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়। বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বংশীবদন মাহাতো বলেন, ‘‘যাঁরা মাওবাদী বন্ধকে সমর্থন করে এলাকায় নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতে চাইছেন, সেইসব দোকানদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’ সোমবার বন্ধের দিনেই ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে বেলপাহাড়ির বিডিওকে একশো দিনের কাজ ও বকেয়া মজুরি-সহ একগুচ্ছ দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের মুখ্য আহ্বায়ক সুব্রত ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এটি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি।’’
এ দিনের বন্ধ নিয়ে সুব্রতবাবুর কটাক্ষ, ‘‘জনগণ বন্ধ ব্যর্থ করেছেন, এটা বলা যাবে না। বরং পুলিশ রাস্তায় নেমে জোর করে বন্ধ ব্যর্থ করিয়েছে।’’
ঝাড়গ্রাম শহরে অবশ্য দোকান-বাজার, ব্যাঙ্ক খোলা ছিল। গ্রীষ্মের ছুটি থাকলেও বিভিন্ন স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম তোলা ও জমা নেওয়ার কাজ হয়েছে। তবে বাসের সংখ্যা ছিল কম। পুরুলিয়া-বেলপাহাড়ি রুটে কেবলমাত্র একটি সরকারি বাস চললেও কোনও বেসরকারি বাস চলেনি। জঙ্গলমহলের সর্বত্রই সরকারি অফিস খোলা ছিল। শালবনি ও গোয়ালতোড়েও জনজীবন স্বাভাবিক ছিল।