Dengue

তাড়াহুড়ো করলে বড় বিপদ ডেঙ্গিতে

অনেক ডেঙ্গি রোগী মোটামুটি সুস্থ হওয়ার আগেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁদের রক্তে তখনও মৃত ডেঙ্গি জীবাণু থেকে নিঃসৃত অ্যান্টিজেন ঘুরে বেড়ায়। ওই অ্যান্টিজেন কোনও স্ত্রী এডিস মশার শরীরে গেলে সেই মশা কোনও সুস্থ মানুষকে কামড়ালে ওই অ্যান্টিজেন ঢুকে যায় শরীরে।

Advertisement

দেবদূত ঘোষঠাকুর

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৬
Share:

যাঁদের ডেঙ্গি হচ্ছে তাদের অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগে বাইরে বেরিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছেন। ওই সব ডেঙ্গি রোগী শুধু নিজেদের বিপদই বাড়াচ্ছেন না, আরও অনেকের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছেন বলে পরজীবীজনিত রোগ বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মত।

Advertisement

অনেক ডেঙ্গি রোগী মোটামুটি সুস্থ হওয়ার আগেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁদের রক্তে তখনও মৃত ডেঙ্গি জীবাণু থেকে নিঃসৃত অ্যান্টিজেন ঘুরে বেড়ায়। ওই অ্যান্টিজেন কোনও স্ত্রী এডিস মশার শরীরে গেলে সেই মশা কোনও সুস্থ মানুষকে কামড়ালে ওই অ্যান্টিজেন ঢুকে যায় শরীরে। যা থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তির ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শুধু তাই নয়, ডেঙ্গি-সহ যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ হলে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা অনেক কমে যায়। কারণ ওই জীবাণুর অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পাঁচ-সাত দিন সময় লাগে। সেই সময়ে বাইরে থেকে ঢোকা জীবাণুকে প্রাথমিক ভাবে নিষ্ক্রিয় করে শ্বেতকণিকা। আর সেই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু শ্বেতকণিকা মৃত্যুবরণ করে। তাই যে কোনও সংক্রমণেই রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা কমে যায়।

Advertisement

পরজীবী বিশেষজ্ঞদের এক জন জানাচ্ছেন, রক্তে শ্বেতকণিকা কমে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে যে কোনও জীবাণু ঢুকলে সে প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন আর হয় না। ফলে সহজেই সে ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু করতে পারে। ফলে সদ্য সেরে ওঠা ডেঙ্গি রোগী আর পাঁচটা সংক্রমণের সহজ শিকার হয়ে পড়তে পারেন। সদ্য ডেঙ্গি থেকে ওঠা ব্যক্তিকে তাই ঘরের মধ্যে বেশ কিছুদিন আলাদা থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement