সকালে ওয়ার্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওঁরা। চেঁচামেচি করে ওয়ার্ড মাথায় করছিলেন। বুধবার সকালেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়েই চলছিল আয়া-রাজ। কিন্তু হাসপাতালের গভর্নিং বডির বৈঠকের পরে স্পেশ্যাল অ্যাটেন্ড্যান্ট বা আয়াদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত শুনেই নিরাপত্তাকর্মীরা বার করে দেন আয়াদের।
ওয়ার্ড থেকে সরে গেলেও হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন আয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাঁদের বলি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করারও হুমকি দেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অত দূর যাওয়ার আর দরকার পড়ছে না অবশ্য। কারণ, দিনের শেষে আয়া বহাল থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে।
মেডিক্যালের সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায় বা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর কথায় এ দিন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, শিশু চুরির পিছনে আসল গাফিলতি চিহ্নিত না করা পর্যন্ত তাঁরা সব দিক থেকে সাবধান থাকতে চাইছেন। এ দিনই নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি খবর পান, আয়া বন্ধের নির্দেশ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি মারফত। ক্ষিপ্ত হয়ে সরাসরি নির্মলকেই ফোন করে মমতা জানতে চান, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে? তিনি, না নির্মল?
নবান্ন সূত্রের দাবি, বৈঠকে আয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি! ফোন ধরেননি নির্মলও। প্রশাসনের ব্যাখ্যা, কিছু অনিয়ম সত্ত্বেও আয়া ছাড়া রোগীদের অসুবিধা হবে। তাই তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।