Nabanna

পার হয়েছে তিন বছর, থানা পায়নি এসটিএফ

বর্তমানে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে রয়েছে এসটিএফের সদর দফতর। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুর্গাপুরে ইউনিট রয়েছে তাদের।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:০৩
Share:

নবান্ন। — ফাইল চিত্র।

জঙ্গি দমন, জাল নোট, বেআইনি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে কয়েক বছর আগে গঠিত হয়েছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। কিন্তু, এসটিএফ-এর নিজস্ব থানার প্রস্তাব বছর তিনেক ধরে পড়ে রয়েছে নবান্নে।

Advertisement

বর্তমানে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে রয়েছে এসটিএফের সদর দফতর। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দুর্গাপুরে ইউনিট রয়েছে তাদের। নবান্নে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সদর দফতর এবং শিলিগুড়ি, ওই দু’জায়গায় থানা এবং বিশেষ আদালত তৈরি করা হোক। থানা হলে উত্তরবঙ্গের ইউনিটগুলি শিলিগুড়ি এসটিএফ থানায় মামলা রুজু করবে। আর দক্ষিণবঙ্গে কোনও ঘটনা ঘটলে মামলা হবে সদর দফতরের থানায়।

রাজ্য পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, এসটিএফ থানা হলে তার নির্দিষ্ট আদালতও হবে। এর ফলে রাজ্যের যে কোনও জায়গায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে নিয়ে দৌড়তে হবে না গোয়েন্দাদের। থানা হলে তার অধীন লক-আপ থাকবে। ফলে ধৃত অভিযুক্তকে রাখার জন্য জেলার থানাগুলির কাছে আবদেনও করতে হবে না।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, কয়েক দিন আগে, বেআইনি সিম-কাণ্ডে রাজ্যের তিন জেলা থেকে ন’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলা রুজু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানায়। জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ওই ধৃত অভিযুক্তদের আদালতে তোলার জন্য দৌড়তে হয়েছিল কলকাতা থেকে বহরমপুরে।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের পৃথক এসটিএফ রয়েছে। তাদের এসটিএফ থানাও রয়েছে। রাজ্য পুলিশের বর্তমান ডিজি রাজীব কুমার এক সময় কলকাতা পুলিশে এসটিএফ তৈরি করেছিলেন। ফলে তাঁর আমলে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ থানা তৈরি হয় কি না, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পুলিশের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন