Hooghly

দলের স্লোগান না দেওয়ায় মহিলাকে গণধর্ষণের নালিশ

পুলিশ জানায়, বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মারধর ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ ০৬:৪১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রাজনৈতিক দলের দাবি মতো স্লোগান না দেওয়ায় পড়শি মহিলাকে মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলির একটি গ্রামের তিন যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা। মহিলা তৃণমূল এবং অভিযুক্তেরা বিজেপি সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ফলে, ঘটনাটিতে রাজনীতির রং লেগেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, সাজানো ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মারধর ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তিন জনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিনই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালতে যাওয়ার পথে এক অভিযুক্তের দাবি, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে চার দিন ধরে একটি উৎসব চলছিল। সেটি শেষ হলে প্রথা অনুযায়ী ‘ধুলোট উৎসবে’ কাদা মাখামাখির পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তিন যুবক-সহ কয়েক জন পাড়ার একটি পুকুরে স্নান করতে যান। তখনই গোলমালের সূচনা। মহিলা জানান, তিনিই পাড়ায় একমাত্র তৃণমূল করেন। তাঁর দাবি, প্রতিবেশী ওই তিন যুবক-সহ প্রায় ২০ জন তাঁর বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে স্নান করতে নেমে বিজেপির স্লোগান দিতে থাকেন। মহিলার অভিযোগ, ‘‘সেখানে আমার নাবালক ছেলে গেলে, তাকে গালাগাল করে ওরা। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও ওরা স্লোগান বলতে বলে। আপত্তি জানানোয় তিন জন চুলের মুঠি ধরে টেনে পাশে বাদাম খেতে ফেলে মারধর এবং ধর্ষণ করে।’’

Advertisement

পক্ষান্তরে, আদালতে যাওয়ার আগে ধৃতদের মধ্যে এক যুবকের দাবি, ‘‘আমরা নিজেদের মধ্যে গালাগাল করায় কাকিমার (অভিযোগকারিণী) ছেলেকে সরে যেতে বলেছিলাম। তাতে কাকিমা আমাকে এসে চড় মারেন। প্রতিবাদ করিনি। উল্টে তিনি নিজের পোশাক ছিঁড়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” ওই যুবকের মায়ের দাবি, ‘‘ওই মহিলা আমার ছেলেকে মারধর করায় আমিই ওঁকে পাল্টা চড় মেরেছি। তার পরে সবটাই নাটক।’’

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “গুরুতর অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করছে। কেউ প্রকৃত দোষী হলে তার অবশ্য সাজা হোক।” বিজেপির রাজ্য স্তরের এক নেতার দাবি, “একেবারেই সাজানো ঘটনা। ভোটের আগে আমাদের দলের এবং কর্মীদের ভাবমূর্তিতে দাগ ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু লাভ হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন