স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র
কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এবং রাজ্যের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্য সাথী’ নিয়ে তরজা শুরু তৃণমূল এবং বিজেপি-র। হুগলি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, কেন্দ্রের চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প অনেক বেশি কার্যকরী। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, দেশের বাকি অংশের মানুষ ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সুবিধা পেলেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বোকা বানানো হচ্ছে।
বুধবার উত্তরপাড়ায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে স্নেহাশিস দাবি করেন, ‘‘বিজেপি অভিযোগ করে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুযোগ আমরা কেন নিলাম না। তার কারণ ওই প্রকল্পের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী স্বাস্থ্যসাথী।’’ স্নেহাশিসের দাবি, ‘‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মতো স্বাস্থ্যসাথীতেও ৬ লক্ষ টাকার বিমা রয়েছে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মাত্র ৩ কোটি মানুষ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ১০০ শতাংশ মানুষই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আসবেন।’’
তৃণমূল নেতার ওই দাবি খণ্ডন করে বিজেপি নেত্রী লকেট পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী পুরোপুরি ব্যর্থ। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা সারা দেশের মানুষ পেয়েছেন।’’ এর পর ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লকেট। বলেন, ‘‘তৃণমূল গত ১০ বছরে কী করেছে যে তারা দুয়ারে দুয়ারে যাবে? নারী পাচার, গরু পাচার এবং কয়লা পাচারে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম, এটাই তারা দুয়ারে দুয়ারে জানাবে। মানুষকে বলা হয়েছে তাঁরা দরজা বন্ধ করে রাখবেন।’’
আরও পড়ুন: ‘কিছুই মেটেনি’! সৌগতকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর, উগরে দিলেন ক্ষোভ
আরও পড়ুন: বেআইনি সুদের কারবারেই কি খুন রায়দিঘির বৃদ্ধ?
লকেটের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের দুয়ারে যায় না। তাদের সরকার যায় অম্বানী, আদানিদের দুয়ারে। যাতে সরকারি প্রকল্পের আওতার বাইরে সাধারণ মানুষ না পড়েন সে জন্যই দুয়ারে যাচ্ছে সরকার। হয় ওঁর (লকেট চট্টোপাধ্যায়) এ তথ্য জানা নেই বা জেনেও ভুল বলছেন।’’ লকেট নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কতটা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন সে প্রশ্নও উস্কে দিয়েছেন দিলীপ।