TMC

ফের প্রবীণেই আস্থা মমতার, দায়িত্ব বণ্টন জেলায় জেলায়

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের সঙ্গে দুই দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:২৩
Share:

ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং সুব্রত বক্সি। ফাইল চিত্র।

দলের প্রবীণ নেতাদের ফের জেলাভিত্তিক সংগঠনের দায়িত্ব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় আছেন সুব্রত বক্সি থেকে ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অরূপ বিশ্বাসরা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের সঙ্গে দুই দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমকে দেওয়া হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও হুগলি জেলার দায়িত্ব। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব পেয়েছেন নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের। টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দুই বর্ধমান সহ জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে আনা হয়েছে।

তবে বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বর্তমান সভাপতিদের উপরেই আস্থা রেখেছেন মমতা। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুভাশিস চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাওড়ার দায়িত্বে ফিরহাদ, প্রথম ডায়াল করলেন রাজীবের নম্বর

এর আগেও ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে বিভিন্ন জেলা সংগঠনের দায়িত্বে থাকতেন তৃণমূলের সব প্রবীণ নেতারাই। এক এক জনের দায়িত্বে থাকত একাধিক জেলা। কিন্তু, গত বছরের ২৩ জুলাই সাংগঠনিক রদবদলের সময় তুলে দেওয়া হয় পর্যবেক্ষক পদ। জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যেই সভাপতি-সহ কো-অর্ডিনেটরের মতো পদ তৈরি করে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের আগে পর্যন্ত সাতটি জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুটি জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। সেই সময় গুঞ্জন ওঠে, শুভেন্দু ও রাজীবের ডানা ছাঁটতেই পর্যবেক্ষক পদটি তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই বকলমে সেই পদটি ফিরিয়ে আনা হল তৃণমূলে।

তবে বুধবার প্রবীণ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও পর্যবেক্ষক শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। তৃণমূলের এক রাজ্য মুখপাত্রের কথায়, “বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করলে ভুল করা হবে। কারণ, নতুন একটি কাঠামোয় দল পরিচালনার একটি চেষ্টা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার সবাইকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা হয়। কিন্তু, গত কয়েক মাসে সেই প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। তাই সংগঠন পরিচালনায় পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন