গোবর, গঙ্গাজলে সভাস্থল ‘শুদ্ধ’ করতে অভিযান

রথযাত্রা হয়নি বলে তবে বিজেপির সভাস্থল ঝিনাইডাঙার মাঠ ও লাগোয়া চত্বরে গঙ্গাজল, গোবরজল ছড়িয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ করলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৬
Share:

পাল্টা: ঝিনাইডাঙার মাঠে তৃণমূলের পবিত্র যাত্রা কর্মসূচি। শনিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

বিজেপির রথযাত্রা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের পবিত্র যাত্রাও হয়ে গেল সংক্ষিপ্ত।

Advertisement

যে রাস্তা দিয়ে বিজেপির রথযাত্রা হওয়ার কথা ছিল, সেই দীর্ঘ পথ জুড়েই ‘পবিত্র যাত্রা’র পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। অন্তত ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থককে ওই কর্মসূচিতে সামিল করানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। রথযাত্রা হয়নি বলে তবে বিজেপির সভাস্থল ঝিনাইডাঙার মাঠ ও লাগোয়া চত্বরে গঙ্গাজল, গোবরজল ছড়িয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ করলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

শনিবার দুপুরে ঝিনাইডাঙ্গা বাজার লাগোয়া এলাকা থেকেই তৃণমূল সমর্থকরা পবিত্র যাত্রা করে বিজেপির সভাস্থলে যান। রথের নির্ধারিত পথে তৃণমূলের পবিত্র যাত্রা হয়নি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। তবে যে টুকু এলাকায় ওরা পা রেখেছে, অপবিত্র করেছে সেই সব এলাকায় পবিত্র যাত্রা করা হয়েছে।”

Advertisement

এ দিন তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে মহিলা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের নেতাদেরও সামিল হতে দেখা যায়। সভাস্থলে পৌঁছে ঝাঁটা হাতে সাফ করা হয় এলাকা। তারপরেই শুরু হয় গোবর জল, গঙ্গাজল ছেটানো। ঘটে ভরা জল আমের পল্লব দিয়ে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে দেন কর্মী-সমর্থকেরা।

কোচবিহার ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি খোকন মিয়াঁ, ওই ব্লকের কার্যকরী সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ নেতারা কর্মসূচিতে যোগ দেন। আজিজুল বলেন, “ঝিনাইডাঙা বাজার থেকে সভাস্থলের পাঁচশো মিটারেরও কম। সবাই মিলে বাজারের দলীয় অফিস থেকে হেঁটে পবিত্র যাত্রা করে সভাস্থলে গিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয়। রথযাত্রা হলে তা যতটা পথ ঘুরত সেই পুরো এলাকায় কর্মসূচি হত।”

বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে বিঁধেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যারা আমাদের বলে, আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি, হিন্দুত্বের রাজনীতি করি, তারাই গো-দান, কীর্তন, গঙ্গাজল, খোল-করতাল করছে। কারা করছে? তৃণমূল করছে। তৃণমূল এত পরস্পর বিরোধী কথা বলে! কারণ কোনও নীতি-আদর্শ নেই।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবুর পাল্টা যুক্তি, ‘‘গোবর সব সম্প্রদায়ের লোকজনই ব্যবহার করেন। কৃষকেরা চাষের কাজে দেন। গঙ্গা নদীকেও সকলেই পবিত্র মনে করেন।’’

বিজেপির আরও অভিযোগ, সভাস্থলের জমিতে চাষে বাধা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। জমিতে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপি অপপ্রচার করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন