Kunal Ghosh

Kunal Ghosh: সারদা মামলায় কুণালকে প্রথম গ্রেফতার ঠিক ছিল না, জানাল আদালত, সাড়ে আট বছর পরে মুক্তি

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সারদা কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে। ২৩ নভেম্বর বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা কুণালকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ১৫:২৬
Share:

আদালতের রায় শুনে খুশি কুণাল। ফাইল চিত্র

সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম গ্রেফতারের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি বলে জানাল আদালত। বিধাননগরে সাংসদ ও বিধায়কদের বিশেষ আদালতের বিচারপতি মনজ্যোতি ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, যে কারণ দেখিয়ে কুণালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা ঠিক নয়। এই রায়ের পরে খুশি কুণাল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ আউড়ে বলেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে। দু’জনকে ধন্যবাদ দেব। আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী এবং হরিকে। রাখে হরি মারে কে!’’

Advertisement

২০১৩ সালের এপ্রিলে সারদা কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে। ২৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। তখন তৃণমূলের সাংসদ থাকা কুণাল সারদা পরিচালিত সংস্থায় চাকরি করতেন। ওই বছরেরই ২৩ নভেম্বর বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা তাঁকে গ্রেফতার করে। সেটিই ছিল কুণালকে প্রথম গ্রেফতার। এর পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা কুণালকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই সব মামলা থেকে কুণাল এখনও মুক্তি পাননি। তবে প্রথম যে মামলাটি ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা করে, সেটি (ইসিপিএস ৩৪) থেকে মুক্তি পেলেন কুণাল।

সেই সময়ে পুলিশের দাবি ছিল, সারদার টাকা অপব্যবহার করে কুণালের দায়িত্বে থাকা সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ১২০বি ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। দীর্ঘ দিন সেই মামলা চলতে থাকায় সম্প্রতি কুণালের আইনজীবী অয়ন আদালতে একটি ‘ডিসচার্জ পিটিশন’ দায়ের করেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন সেখানে প্রশ্ন তোলেন, তাঁর মক্কেল কোনও অন্যায় না করেও দিনের পর দিন বিচারের মোকাবিলা করে যাবেন কেন? তারই প্রেক্ষিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।

Advertisement

সেই শুনানি চলাকালীন বৃহস্পতিবার সরকারি আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্যের কাছে বিচারপতি ভট্টাচার্য কী কারণে কুণালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা জানতে চান। ২০১৩ সালেই এই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা পড়ে। সেখানেও নাকি কুণালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ ছিল না। সরকারি আইনজীবী আদালতকে জানান, সুদীপ্তের সঙ্গে কুণাল ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকতে পারেন ভেবেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই জবাবে বিচারক সন্তুষ্ট না হয়ে জানিয়ে দেন, কোনও রুগ্ন সংস্থা বেতন দিতে না পারলে তা নিয়ে ফৌজদারি মামলা করা যায় না। গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে এই যুক্তি গ্রাহ্য হতে পারে না। এই মামলা থেকে কুণাল ছাড়াও সুদীপ্ত এবং সারদার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ আর এক কর্তা সোমনাথ দত্ত মুক্তি পেয়েছেন।

সেই সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও এখন শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কুণাল। দলের রাজ্য মুখপাত্রও তিনি। সেই সময়ে তৃণমূল সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়া দলীয় নেতা কুণাল বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি তখনও তৃণমূলে ছিলাম, এখনও রয়েছি। জেলে থাকার সময়েও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। দু’-তিন জন ব্যক্তিগত কারণে আমায় ফাঁসিয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল, আছে এবং জারি থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন