পুর-দ্বন্দ্বে নয়া মোড়, বৈঠকে নেই দিলীপ

আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাকা হয়নি দিলীপবাবুকে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০১:৩৮
Share:

যে ‘পোস্ট’ নিয়ে বিতর্ক।

ফেসবুকে ক্ষোভের কথা লিখে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়ার উপ-পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল। এবার তিনি ডাক পেলেন না দলের জেলা কমিটির বৈঠকে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জল্পনা দানা বেঁধেছে দলের অন্দরে। দল দিলীপবাবুর সঙ্গে দুরত্ব বাড়াচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

Advertisement

আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাকা হয়নি দিলীপবাবুকে। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি দলের জেলা কমিটির সদস্য। এর আগে দলের সব বৈঠকেই ডাক পেয়েছি। এদিন যে বৈঠক হতে চলেছে, সে বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। দলীয় ভাবে বৈঠকে যাওয়ার আমন্ত্রণও পাইনি। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।”

শনিবার ফেসবুকে দিলীপবাবু পোস্ট করে অভিযোগ তোলেন, ‘বাঁকুড়ার জন্য অনেক কিছুই করার ইচ্ছে থাকলেও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য পারছি না’। পরে এই ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে ‘কাজে অসহযোগিতা’র অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেন মহাপ্রসাদবাবু। কেন দিলীপবাবু ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন তা নিয়ে পালটা প্রশ্নও তোলেন পুরপ্রধান। তৃণমূল সূত্রে খবর, মহাপ্রসাদ এবং দিলীপবাবুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব তা মেটানোর নির্দেশ দেন। তারপরেও দলীয় বৈঠকে দিলীপবাবু আমন্ত্রন পাননি। বৈঠকে মহাপ্রসাদবাবু উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

দিলীপবাবুকে কেন ডাকা হল না সেই প্রসঙ্গে মহাপ্রসাদবাবুর সাবধানী প্রতিক্রিয়া, “এটা দলই বলতে পারবে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “দিলীপ জেলা কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য। ওকে আগামী বৈঠকে ডাকা হবে।” যদিও জেলা সভাপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপবাবু বলেন, “আমি যে জেলা কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য তা আজই জানলাম। এতদিন নিয়মিত সদস্য হিসেবেই দল আমাকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাত। এতদিন কেউ আমাকে জানাননি যে, আমি আমন্ত্রিত সদস্য।”

তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের কর্মীদের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে দেওয়াল ‘বুক’ এবং দেওয়াল লিখন শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ স্তর, অঞ্চল স্তর ও ব্লক স্তরের সঙ্গে জেলা স্তরের নিয়মিত যোগাযোগ গড়ে তুলতে সক্রিয় কর্মীদের মোবাইল নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৫ মার্চ সোনামুখীতে জনসভা করার কথা রয়েছেন বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিনের বৈঠকে অভিষেকের সভার প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অরূপবাবু বলেন, “লোকসভা নির্বাচন যে কোনও মুহুর্তে ঘোষণা হতে পারে। তার আগে দলীয় কর্মীদের সব রকম ভাবে তৈরি থাকার জন্য বৈঠকে বলা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন