tmc leader

TMC: মালদহে বন্দুক হাতে তৃণমূল নেতা, ছবি ভাইরাল হতে বললেন, ওটা তো পাখি মারা বন্দুক!

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্য তৃণমূল এ সব করছে। তৃণমূল বলছে, হেরে গিয়ে জমি হারিয়ে কুৎসা করছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২ ১১:৩৭
Share:

যুব তৃণমূল নেতার এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

হাতে বন্দুক। তা নিয়েই নেটমাধ্যমে ছবি দিলেন তিনি। আর তা থেকে বিতর্ক। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিরাজউদ্দিন আলি ওরফে পুকালু খান। তাঁর ওই ছবির পর নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শেষে সাফাই দিয়ে পুকালুর দাবি, তাঁর হাতে ধরা আগ্নেয়াস্ত্রটি আসলে পাখি মারার বন্দুক। ঘটনাটি মালদহের জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।

Advertisement

অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা পুকালুর কথায়, ‘‘ওটা পাখিমারা বন্দুক। শখ ছিল। তাই ছবি তুলে নেটমাধ্যমে দিয়েছি। বিজেপি এটা নিয়ে বলবেই। কারণ ওরা বন্দুক চেনে না। ওরা শুধু চাইছে বদনাম করতে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘বিজেপি জানে না কোনটা একে ফর্টি সেভেন আর কোনটা পাখি মারার বন্দুক। বিজেপি শুধু সুযোগ খোঁজে নিন্দা করার। পুলিশ প্রমাণ দেখতে চাইলে আমরা দেখিয়ে দিতে পারব।’’

পুকালুর ছবি ভাইরাল হতেই এ নিয়ে সুর চড়িয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে শাসক শিবির।

Advertisement

উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্য তৃণমূল এ সব করছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাই তৃণমূল নেতা এ রকম ছবি পোস্ট করেছেন।’’

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের পাল্টা দাবি, ‘‘ওটা পাখি মারার বন্দুক ছিল। শখে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন উনি। নিন্দা করা বিজেপি-র কাজ। নিজেদের পায়ের নীচে জমি নেই তাই বিজেপি এ সব বলছে।’’

জানা গিয়েছে, খবরের জেরে ওই যুব নেতাকে থানায় তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বন্দুকটি। তবে পুলিশ জানিয়েছে অস্ত্রটি পাখি শিকার করার এয়ার গান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন