তৃণমূল নেতাকে গুলি, অভিযোগ আরাবুলের নামে

তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ বার এফআইআর দায়ের হল ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০৪:৪৫
Share:

তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এ বার এফআইআর দায়ের হল ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সোমবার রাতে দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ মিজানুর আলম। হামলার পিছনে আরাবুলের হাত রয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন মিজানুর। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার বিকেলে কাশীপুর থানায় আরাবুল সহ তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

তৃণমূলের প্রথম জমানায় ভাঙড়ে আরাবুলের নামটাই ছিল যথেষ্ট। তোলাবাজি, জুলুম, কলেজ শিক্ষিকার ওপর হামলা থেকে শুরু করে হেন ঘটনা নেই যাতে আরাবুলের নাম জড়ায়নি। কিন্তু এ বার ভোটের আগে থেকে তাঁর ডানা ছাঁটা শুরু করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় আরাবুলকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঘটনার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ যেভাব তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে তাতেই পরিষ্কার যে আরাবুলদের আর আড়াল করতে চায় না শাসক দল। তোলাবাজি ও জুলুম বন্ধের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে যে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা কাজ করতে শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মিজানুর মোটর সাইকেলে চড়ে পোলেরহাট এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই আরেকটি মোটর সাইকেল থেকে দু’জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। প্রাণে বাঁচলেও একটি গুলি মিজানুরের হাতের দুই আঙ্গুল ভেদ করে চলে যায়। রাতে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার পর দুটি আঙ্গুলে অস্ত্রপচারও হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের কাছে মিজানুর জানিয়েছেন, পোলেরহাট এলাকায় জমির দখল নিয়ে তাঁর উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিলেন আরাবুল। পঞ্চায়েতে কিছু অনৈতিক কাজ করার জন্যও আরাবুল চাপ বাড়াচ্ছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ার কারণেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মিজানুর।

ভাঙড় তৃণমূলের একাংশের কথায়, মিজানুর দু’দফায় পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি আরাবুল-বিরুদ্ধ বলে পরিচিত। সম্প্রতি এলাকায় বিভিন্ন জমির দখল নিয়ে আরাবুলের সঙ্গে মিজানুরের চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে সেই বিবাদের যোগ থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরাবুল। তিনি পাল্টা বলেন,‘‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই।’’

ভাঙড়ে বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক হলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর সঙ্গেও আরাবুলের বিরোধিতার কথা সুবিদিত। মিজানুরের ওপর হামলার ঘটনায় রেজ্জাক বলেন,‘‘অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন