ভুবনেশ্বরে গিয়েও পার্থরা এড়ালেন সুদীপ-তাপসকে

দলের কার্যালয় উদ্বোধনে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরে গেলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০৪:২৫
Share:

সূচনা: ভুবনেশ্বরে তৃণমূলের কার্যালয়ের উদ্বোধনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

দলের কার্যালয় উদ্বোধনে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরে গেলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। কিন্তু আধ ঘন্টা দূরের অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়ে সোমবার তাঁদের কেউই দেখা করলেন না দলের ‘জেলবন্দি’ দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস পালের সঙ্গে! আর এই অসাক্ষাৎ ঘিরেই গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে পড়শি রাজ্য ওড়িশায় দলের কার্যালয় উদ্বোধনে রবিবার রাতে ভুবনেশ্বর পৌঁছন পার্থ এবং বক্সী। ওড়িশা বিধানসভার কাছে মধুসূদন নগরে ফিতে কেটে এ দিন দুপুরে তৃণমূলের কার্যালয় উদ্বোধন করেন তাঁরা। সমর্থকদের নিয়ে সভাও হয়। ওড়িশার মাটিতে তৃণমূলকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করাতে দুই নেতাই জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দেন কর্মীদের।

কিন্তু ভুবনেশ্বরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েও তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা রোজভ্যালি-কাণ্ডে ধৃত লোকসভায় দলনেতা সুদীপবাবু বা সাংসদ তাপসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। কেন হাসপাতালে গিয়ে দেখা করলেন না দুই সাংসদের সঙ্গে? ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা ফিরে পার্থবাবুর জবাব, ‘‘ওঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রভাবশালীর তকমা দেবে লোকে! না গেলেও আবার প্রশ্ন তুলবে! এই বিতর্কের মধ্যে যেতেই চাই না। ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলাম দলের নির্দিষ্ট একটা কর্মসূচিতে।’’

Advertisement

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পার্থ এবং বক্সীই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে ভুবনেশ্বরে গিয়ে সুদীপবাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নোটবন্দির প্রতিবাদ করায় ‘ফাঁসানো’ হয়েছে সুদীপবাবুকে। কিন্তু তার পরে আর সেখানে দলের প্রথম সারির কোনও নেতা যাননি বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর। আর তাপসের থেকে বরাবরই দূরত্ব রেখেছেন দলীয় নেতারা। পার্থবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘দেখা করিনি মানে সুদীপদা’র প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, দুর্বলতা কমে গিয়েছে, তা তো নয়!’’ তাপস-প্রসঙ্গ অবশ্য অনুক্তই ছিল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন