TMC & Jyotipriya Mullick

সোমবার নিজেকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করবেন মন্ত্রী বালু! কী বলবেন? সে দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব

তিনি যে ‘নির্দোষ’, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৮
Share:

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।

রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী বলবেন, আপাতত সে দিকেই নজর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের পার্টি অফিসে বসে তিনি বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন যে, ৬ তারিখ (সোমবার) প্রমাণ করে দেবেন তিনি নির্দোষ। আমরা ৬ তারিখের অপেক্ষায় আছি। তিনি নিজে হয়তো কোনও একটি জায়গায় পৌঁছেছেন বা পৌঁছবেন। নিশ্চয়ই সেই বিষয়ে কোনও যৌক্তিকতা বা সত্যতা আছে।’’

Advertisement

এর আগে জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন যে, তিনি যে নির্দোষ। পাশাপাশি তাঁর দাবি ছিল, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সেই সময়েই মন্ত্রী বলেন, “আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপি আমায় ফাঁসিয়েছে। মমতাদি-অভিষেক সব জানে।” তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কি না এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।” খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন বলেও দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। নিজেকে ‘মুক্ত’ বলে দাবি করার পর জ্যোতিপ্রিয়কে খাপছাড়া ভাবে বলতে শোনা যায়, “আর চার দিন পর...।” এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণ না করেই গাড়িতে উঠে যান তিনি। জ্যোতিপ্রিয়কে এ-ও বলতে শোনা যায় যে, “দু’দিনের মধ্যে সব প্রকাশ হবে।” এই দু’দিন এবং‌ চার দিনের কথা জ্যোতিপ্রিয় কেন বললেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি মনে করেন, ‘‘এ সব কিছুই করা হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। কারণ আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজের সুফল পাবে তৃণমূল। বিজেপি কোনও ভাবেই আমাদের সঙ্গে পেরে না উঠে এ ভাবেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে।’’ এ ক্ষেত্রে আরও এক জেলবন্দি নেতার কথা তুলে এনেছেন তৃণমূলের ‘বক্সীদা’। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন সময়ে নানা কথা বলে মন্ত্রীদের গ্রেফতার হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায় এক বছর চার মাস ধরে জেলে রাখা হয়েছে। তাঁর চার্জশিটে কী হয়েছে, তা কেবল আমরা টিভির পর্দায় দেখেছি। বাস্তবে কী ঘটছে কেউ জানে না। সব কিছুই সূত্র হিসেবে দেখি, সত্য হিসেবে দেখি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন