ছেলের অভিযোগ খারিজ করে ভাইপোকে ক্লিনচিট অর্জুনের

বিধায়ক-পত্নীকে গুলির ঘটনার ধোঁয়াশা কাটছে না। অর্জুন সিংহের স্ত্রী ঊষাদেবীর পেটে আদৌ গুলি লেগেছে কি না বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা। তার উপরে গুলি-বিতর্কে আরও জল্পনা বাড়ালো অর্জুন সিংহের মন্তব্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ১১:৩৪
Share:

অর্জুন সিংহ।—ফাইল চিত্র।

বিধায়ক-পত্নীকে গুলির ঘটনার ধোঁয়াশা কাটছে না।

Advertisement

অর্জুন সিংহের স্ত্রী ঊষাদেবীর পেটে আদৌ গুলি লেগেছে কি না বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা। তার উপরে গুলি-বিতর্কে আরও জল্পনা বাড়ালো অর্জুন সিংহের মন্তব্য। ভাইপো সৌরভের উপরে ওঠা অভিযোগের তীর সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিয়ে তিনি শুক্রবার জানালেন, গুলিই লাগেনি ঊষাদেবীর। গাড়ির চাকায় পড়ে রাস্তার পাথর ছিটকে তাঁর পেটে লাগে। সে কারণেই ওই ক্ষত। বৃহস্পতিবারই অর্জুন সিংহের ছেলে পবন জগদ্দল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, খুড়তুতো ভাই সৌরভই তাঁর মাকে গুলি করেছে। পারিবারিক বিবাদের প্রসঙ্গও তিনি এফআইআরে উল্লেখ করেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আচমকা বাবা অর্জুন সিংহ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ভাইপোকে ক্লিনচিট দিয়ে দিলেন। একই পরিবারের ভিন্ন মতে রহস্যের গন্ধই পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

যদিও তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহের দাবি, স্ত্রী ঊষা মানসিক অবসাদগ্রস্ত। ছেলে পবন বাইরে থাকেন। মায়ের দুর্ঘটনার কথা শুনে তিনি ছুটে আসেন। কিছু বিচার-বিবেচনা না করে শুধুমাত্র আবেগে প্রভাবিত হয়েই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। অপরদিকে বাবার এই মন্তব্যের পরেই ছেলে পবন সিংহ বলেন, ‘‘বাবা মিথ্যাবাদী। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই তিনি জোর করে মাকে পাগল সাজাতে চাইছেন।’’ এ দিন হাসপাতাল থেকে পবন আরও জানান, গুলি দেহের ভিতরেই রয়ে গিয়েছে যার জন্য তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ঊষাদেবীর জখম গুরুতর। তার উপরে পরিবারের লোকেরাই প্রথম জানিয়েছিলেন যে গুলির শব্দে তাঁরা নীচে নেমে আসেন। তখন রক্তাক্ত ঊষাদেবী অচৈতন্য অবস্থায় গাড়ি বারান্দায় পড়ে ছিলেন। রাস্তার পাথর ছিটকে লাগলে কী ভাবে গুলির শব্দ পাওয়া সম্ভব? তার উপরে পাথর লেগে জখম হলে পরিবারের লোকেরা তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই বা করছিলেন কেন তা-ও তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঊষাদেবী। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফেরেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement