অভিষেকের সামনে পরীক্ষা দিলেন দীপক

বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। সাসপেন্ড থাকাকালীনই তিনি স্থানীয় সাংসদের সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পরে এ বার সেই সাংসদের সঙ্গে সভা তো করলেনই, তার সঙ্গে সাংসদ তথা দলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতারও প্রমাণ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৫
Share:

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপক হালদার। মঙ্গলবার শান্তশ্রী মজুমদারের তোলা ছবি।

বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।

Advertisement

সাসপেন্ড থাকাকালীনই তিনি স্থানীয় সাংসদের সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পরে এ বার সেই সাংসদের সঙ্গে সভা তো করলেনই, তার সঙ্গে সাংসদ তথা দলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতারও প্রমাণ দিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।

দলবিরোধী কাজের জন্য দীপকবাবুকে সাসপেন্ড করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু সাসপেন্ড হওয়ার পরেও বিধায়ক হিসেবে প্রতিটি প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়েছেন তিনি। তদ্বির করেছেন রাস্তা, পানীয় জল এবং অন্যান্য কাজ কতটা এগোল, তা নিয়ে। আর সেই কারণেই কিছুদিন আগে ডায়মন্ড হারবারের কিষাণ মান্ডির উদ্বোধনে এসে অভিষেক সুখ্যাতি করেছিলেন দীপকবাবুর। ঘটনাচক্রে তার পরেই তাঁর সাসপেনশন উঠে গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবার প্রথম একমঞ্চে সভা করলেন তাঁরা।

Advertisement

কেন্দ্রের জনস্বার্থ বিরোধী নীতি এবং অসহিষ্ণুতার অভিযোগে ডায়মন্ড হারবার বিগ বাজারের সামনে এ দিন ছিল তৃণমূলের পথসভা। কিন্তু পথসভা পরিণত হয় জনসভায়। সভার আগে ডায়মন্ড হারবার এক ও দু’নম্বর ব্লক থেকে প্রায় ৪০ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল। পুরো শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মিছিলের জেরে। কপাটহাট থেকে মিছিলে হেঁটে মঞ্চে আসেন অভিষেক। দলীয় এক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপকবাবু তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রতিটি বুথ থেকে লোক নিয়ে আসতে। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, এ দিন বিশাল মিছিল ও সভা করে দীপকবাবু বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, তিনি ভাল সংগঠক। একই সঙ্গে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন, আগামী বিধানসভা ভোটে তিনিই ডায়মন্ড হারবারে দলের যোগ্য প্রার্থী।

প্রত্যাশিত ভাবেই অভিষেক এ দিন তোপ দেগেছেন বিজেপি এবং সিপিএমকে লক্ষ্য করেই। বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘অচ্ছে দিন আ গয়ে বলে প্রচার করে একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলেছে বিজেপি।’’ সিপিএম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি ফের দীপকবাবুর প্রশংসা করেন। অভিষেকের অভিযোগ, ‘‘প্রায় ৪০ বছর ধরে ডায়মন্ড হারবারের জন্য সিপিএম নেতারা কিছু করেননি। কেবল টাকা নয়ছয় করেছেন। তাই ওঁরা কী কাজ করেছেন আর দীপক হালদার কী কাজ করেছেন, আমাদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি কী কাজ করেছে, সাংসদ কী কাজ করেছে, তা যাচাই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট দেবেন।’’

অভিষেকের আরও দাবি, যে ভাবে সিপিএম দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ঠকিয়েছে, এ বার মানুষকেও তাদের ঠকাতে হবে এক অভিনব কায়দায়। তাঁর পরামর্শ, ‘‘বাড়িতে সিপিএম ভোট চাইতে গেলে কিছু বলার দরকার নেই। বরং উল্টে আশ্বাস দিন, ভোট আপনারাই পাবেন। কিন্তু ভোটের দিন এদের কাউকে ভোট দেবেন না।’’ এ দিন গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের সিপিএমের ছ’জন প্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন