২১শের পঁচিশে, প্রস্তত তৃণমূল

এই সমাবেশ ডাকা হয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নামে। এখন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যার সভাপতি। লোকসভায় শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় দলের সব সাংসদকে হাজার থাকতে বললেও শনিবারের সমাবেশের জন্য অভিষেককে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫১
Share:

মঞ্চের নীচে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

সভা শনিবার। কিন্তু লোক আসা শুরু হয়েছে চার দিন আগে থেকেই। তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালনের এ বার ২৫ বছর। তার উপর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দলের সবচেয়ে বড় বার্ষিক এই রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজনও তাই এ বার ব্যাপক। ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অন্তত দু’কিলোমিটার জুড়ে লাউডস্পিকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা তো থাকছেই, তার উপর সভাস্থল ঘিরে অনেক দূর পর্যন্ত থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন। তৃণমূলের নিজস্ব ফেসবুক পেজ তো আছেই, তার সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ভিত্তিক ফেসবুক পেজেও লাইভ দেখানো হবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। সেই সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের জন্য থাকছে আলাদা একটি ফেসবুক পেজ। সেখানেও ‘লাইভ’ দেখা যাবে তৃণমূল নেত্রীর বক্তৃতা।

Advertisement

এই সমাবেশ ডাকা হয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নামে। এখন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যার সভাপতি। লোকসভায় শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় দলের সব সাংসদকে হাজার থাকতে বললেও শনিবারের সমাবেশের জন্য অভিষেককে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ছাড় দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও। মঞ্চ নির্মাণের তদারকিতে নেতা ও মন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দফায় দফায় দিনরাত হাজিরা দিচ্ছেন মঞ্চে। আজ, শুক্রবার খড্গপুর থেকে ফিরে সন্ধ্যায় সমাবেশ মঞ্চ দেখতে যাবেন মমতা স্বয়ং। যেমন প্রতিবছর যান।

সমাবেশের জন্য গত সোমবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় ভিড় জমাচ্ছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। ই এম বাইপাসের ধারে মিলন মেলা, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে ওই সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে। ইতিমধ্যেই মিলন মেলায় প্রায় হাজার ত্রিশেক লোক রয়েছেন সেখানে। উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চ এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে হাজার কুড়ি লোক অপেক্ষা করে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর সভামঞ্চে যাওয়ার জন্য। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে হাজার পাঁচেক লোকের ব্যবস্থা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। সভায় যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য ২১টি অতিথিশালা এবং ৩২টি ক্যাম্প অফিসে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন