Sagar Dutta Medical College Hospital

ভয় দেখিয়ে সাগর দত্তে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্র পরিষদ

পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, গত ৩ জানুয়ারি বিকেল থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরীক্ষা বয়কট করার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৩১
Share:

কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

সব রকমের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তার পরেও হল না পরীক্ষা! অভিযোগ, হস্টেল বণ্টন-সহ বেশ কিছু দাবিতে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের ইন্টারনাল পরীক্ষা বন্ধ করে দিল তৃণমূল সমর্থিত ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। এমনকি, পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের রীতিমতো ভয় দেখিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসার আগে কলেজের অভ্যন্তরীণ এই পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের ১২৫ জন পড়ুয়ার এ দিন অ্যানাটমি বিষয়ের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, গত ৩ জানুয়ারি বিকেল থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরীক্ষা বয়কট করার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। দাবি তোলা হয়, পরীক্ষা বয়কট করে কলেজের অধ্যক্ষের উপরে ‘চাপ’ তৈরি করা হবে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র সদস্য বিক্রম মণ্ডল বলেন, ‘‘হস্টেলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। আচমকা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরীক্ষা বয়কট করে আন্দোলনের নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।’’ তিনি জানান, গত ৪ জানুয়ারি পরীক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় যথারীতি এ দিন পড়ুয়ারা অনেকে কলেজে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি। অভিযোগ, সকাল থেকে পরীক্ষা শেষ হ‌ওয়া পর্যন্ত সবাইকে আটকে রাখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা।

সাগর দত্তের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। পরীক্ষা আটকে দিয়ে আখেরে সরকার ও কলেজের সুনাম নষ্ট করছেন কেউ কেউ। আগামী সপ্তাহে জরুরি ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’ ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র প্রামাণিকের দাবি, ‘‘কিছু যুক্তিগ্রাহ্য দাবি অনেক দিন ধরে মানা হচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে অন্য দিন পরীক্ষার জন্য ডিনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি। তবে পরীক্ষা বাতিল হয়নি, অন্য দিন হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন