বিহারীদের সংগঠনকে তৃণমূলে আনলেন মমতা

শুধু রাজ্যের বিহারী সমাজের পাশে থাকার বার্তা দেওয়াই নয়, তাদের সংগঠনকে তৃণমূলের অন্তর্ভুক্ত করে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

শুধু রাজ্যের বিহারী সমাজের পাশে থাকার বার্তা দেওয়াই নয়, তাদের সংগঠনকে তৃণমূলের অন্তর্ভুক্ত করে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় বিহারী সমাজ’-এর এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাকে আপনাদের থেকে আলাদা কেউ ভাববেন না। আমাকে আপনাদের বাড়ির মেয়ে, বোন ভাবুন। কোনও সমস্যা হলে আমাকে বলবেন, শুনব।’’ এই মঞ্চেই তিনি রাষ্ট্রীয় বিহারী সমাজকে তৃণমূলের শাখা সংগঠনের স্বীকৃতি দিয়ে বিধায়ক অর্জুন সিংহকে তার সভাপতি করে দেন।

যে সংগঠনের অনুষ্ঠানে মমতা গিয়েছিলেন, তার সচিব মুন্না সিংহের দাবি, বাংলা জুড়ে তাঁদের সদস্য আনুমানিক ৪৭ হাজার। বিহারী ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই অসমের নাগরিক পঞ্জিতে বাদ যাওয়া বিহারীদের উদ্বেগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় দু’লক্ষ বিহারীর নামও বাদ গিয়েছে ওই তালিকায়। সকলের দুশ্চিন্তার কথা বুঝি।’’ এ রাজ্যের বিহারীদের কাছে তাঁর আশ্বাস, ‘‘এই সব এ রাজ্যে কখনও হয়নি। হতে দেব না।’’

Advertisement

বিহারে এখন সরকার নীতীশ কুমারের। এখনও কাগজে-কলমে যিনি এনডিএ-র সমর্থনে সরকার চালাচ্ছেন। কিন্তু মমতার দাবি, এ রাজ্যের বিহারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। মমতার কথায়, ‘‘ভোটের সময় রাজনীতি করতে অনেকেই বিহারীদের কাছে ভোট চান। অনেকে বিহারী-বাঙালি ভেদাভেদ করেন। ভোটের সময় যাঁরা এমন করেন, তাঁদের মনে কালো। আমার মিটিং করে বলতে হয় না বিহারীরা ভোট দিন। বিহারীরা আমাকেই ভোট দেন। আর দেবেনও। আমার তো ওঁদের সঙ্গে ৩৬৫ দিনের সম্পর্ক।’’

এ রাজ্যে বসবাসের ব্যাপারে শুধু নিশ্চয়তা দেওয়াই নয়, রুটি-রুজিতেও বিহারীদের কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিন্দিভাষী এ রাজ্যে কাজ করেন। কলকাতা কর্পোরেশনে এবং ১০০ দিনের কাজে ৯০ শতাংশ বিহারী কাজ করেন। এ রাজ্যে আপনাদের কাজের অনেক সুযোগ বাড়বে। কোনও ভাবেই তা কমবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন