নামে কোপ পড়ছে না তো! বাড়ি-বাড়ি নজর তৃণমূলের

ইভিপি বা তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে, গত ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকায় সংযোজন, সংশোধন, বিয়োজন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া কোনও ভাবেই তালিকা থেকে কোনও ভোটারের নাম বাদ যাবে না বলে আশ্বস্ত করছে নির্বাচন কমিশন। তাতেও কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ভোটার তালিকার নাম সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারির জন্য বাড়ি-বাড়ি যাবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

ইভিপি বা তথ্য যাচাই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে, গত ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকায় সংযোজন, সংশোধন, বিয়োজন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বয়স ভাঁড়িয়ে কেউ যাতে নাম তুলতে না-পারেন, কারও নাম যাতে বাদ না-যায়— সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে তালিকা সংক্রান্ত বিষয়ে নজর রাখতে বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের সব স্তরে শুক্রবার এই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজকর্মে বাকি সব রাজনৈতিক দলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের ৭৮,৭৯৯টি বুথেই বসছেন শাসক দলের বুথ লেভেল এজেন্টরা (বিএলএ)। সেই তুলনায় অন্যান্য দলের বিএলএ-র সংখ্যা অনেক কম বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

গত এক বছর ধরে সাত নম্বর ফর্ম ছাড়া কারও নাম বাদ দেওয়ার উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কমিশন। কারও নাম বাদ দেওয়ার জন্য সাত নম্বর ফর্ম জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। মৃত ভোটারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করলে মৃত্যুর শংসাপত্র জমা দিতে হবে। আবার কেউ যদি অন্য কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে চান, সে-ক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটার হতেই হবে। সঙ্গে অভিযোগের পক্ষে নথিও দিতে হয় অভিযোগকারীকে। তালিকায় নাম সংযোজন-বিয়োজন-সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)। একই সঙ্গে সংশোধনীর ক্ষেত্রে সর্বাধিক তিনটি সংশোধনের সুযোগ পেতে পারেন আবেদনকারী।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে জয়পুর, প্রতিবাদ চলছেই

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি চলছে। এই প্রেক্ষিতে সরকারি নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাতে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। তবে কমিশনের কর্তারা বলছেন, অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেরও ব্যবস্থা থাকছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি শনি ও রবিবার প্রতিটি বুথে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত থাকার কথা বিএলও-দের। সেখানে অফলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন ভোটার বা আবেদনকারীরা।

আরও পড়ুন: কোর্ট বৈঠকে যাব, নয়া সঙ্কট ডাকলেন আচার্য

কোথাও কোথাও বিএলও-দের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যও জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন