Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee & BJP: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলে বৃহত্তর স্বার্থে তা মানতে হবে! নেতাদের বার্তা অভিষেকের

অর্জুন সিংহের পর বিজেপি ছেড়ে আর কোনও বড় নেতা তৃণমূলে যোগদান করতে চাইলে, তাঁদের নেওয়া হবে। ব্যারাকপুরের বিধায়কদের সে কথা বলেছেন অভিষেক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ২১:৪১
Share:

অর্জুন সিংহকে তৃণমূলে স্বাগত জানানোর মূহূর্ত। নিজস্ব চিত্র

ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ তৃণমূলে যোগ দিতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, আগামী দিনে কি গেরুয়া শিবির ছেড়ে আর কেউ শাসকদলে যোগ দেবেন? সূত্রের খবর, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যা রবিবার অর্জুনের যোগদানের আগে ব্যারাকপুর অঞ্চলের বিধায়কদের জানিয়েও দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুনের যোগদান নিয়েও তৃণমূল শিবিরে কারও কারও আপত্তি ছিল। তা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মতিতেই শেষ পর্যন্ত অর্জুনকে ফের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়।

Advertisement

সূত্রের খবর, রবিবার অর্জুনের যোগদানের আগে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরের ব্যারাকপুর লোকসভার অধীন তৃণমূলের কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেন অভিষেক। কেন অর্জুনকে তৃণমূলে নেওয়া জরুরি, তাও বুঝিয়ে দেন নেতাদের। সেই বৈঠকে হাজির এক নেতার কথায়, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আমাদের বুঝিয়েছেন কেন অর্জুনকে নেওয়া জরুরি। তিনি যুক্তি দিয়ে আমাদের বুঝিয়েছেন বিজেপি-কে এ রাজ্যে দুর্বল করতে, এবং লোকসভায় নিজেদের শক্তি বাড়াতে হলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ প্রসঙ্গত আগামী দিনে তাঁর পরেও যে বিজেপি নেতারা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুনও। প্রসঙ্গত, তাঁর পথ ধরেই আগামী ৩০ মে জগদ্দলে অভিষেকের সভায় তৃণমূলে যোগ দেবেন তাঁর বিধায়ক পুত্র পবন সিংহ।

বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে হাওয়া থাকলেও, ব্যারাকপুর আসন জিততে প্রার্থী হিসাবে অর্জুন ছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি-র মোক্ষম জবাব। আর ব্যারাকপুর থেকে অর্জুনকে বিজেপি থেকে সরিয়ে নিজেদের দিকে আনলে ২০২৪ সালে বিজেপি-র ব্যারাকপুর জয়ের ন্যূনতম সম্ভাবনাও থাকবে না। এ ভাবেই বিজেপি-র বেশকিছু সাংসদ রয়েছেন যাঁদের ব্যক্তিগত প্রভাব রয়েছে নিজেদের লোকসভা এলাকায়। তাই তাঁরা যদি তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তা হলে গেরুয়া শিবিরকে দুর্বল করতে এমন যোগদানের কৌশল অবলম্বন করতেই পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন