ভর্তির দাবি, অধ্যক্ষ ঘেরাও ১১ ঘণ্টা

অধ্যক্ষ সুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মমাফিক দফায় দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। তা সত্ত্বেও আবেদনকারী সব ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির দাবিতে আমাকে ঘেরাও করা হল।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

বিক্ষোভ: টিএমসিপি-র হাতে ঘেরাও অধ্যক্ষ। ছবি: তাপস ঘোষ।

ভর্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে প্রায় ১১ ঘণ্টা মগরার বাগাটি শ্রীগোপাল ব্যানার্জি কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

Advertisement

অধ্যক্ষ সুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মমাফিক দফায় দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। তা সত্ত্বেও আবেদনকারী সব ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির দাবিতে আমাকে ঘেরাও করা হল।’’ পক্ষান্তরে, কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি-র কৃষ্ণ পাসোয়ানের দাবি, ‘‘ভর্তির পরেও অনেক আসন ফাঁকা হচ্ছে। সে সব আসনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে কিছু জানানোও হচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’’

এ ভাবে ঘেরাও নিয়ে তাঁদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছেন টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘কে বা কারা ঘেরাও করেছে, আমার জানা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রকৃত মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। সেটাই চলবে। যদি টিএমসিপি-র কেউ অনৈতিক দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে থাকেন, তাঁদেরও রেয়াত করা হবে না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: স্টান্ট দেখাতে গিয়ে মৃত্যু দুই মদ্যপ বন্ধুর

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে অনলাইনে ভর্তি চলছে। ইতিমধ্যে বহু আসনে ভর্তি হলেও বেশ কিছু আসন ফাঁকাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজ খোলার পরেই কিছু অভিভাবক ভর্তি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে দরবার করেন। তার পরেই দুপুর ২টো থেকে অধ্যক্ষের ঘরে টিএমসিপি-র জনাপঞ্চাশ কর্মী ঘেরাও শুরু করেন বলে অভিযোগ। তবে, তাঁকে কোনও কাজে বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনিই ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। রাত ১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমানে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের আলোচনার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

অধ্যক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ না-পাওয়ার জন্যই ফাঁকা আসনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, আসনের অতিরিক্ত ভর্তি কোনও কলেজে নেওয়া হবে না। তবে সত্যিই আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে ভর্তির বিষয়টি কলেজের সিদ্ধান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন