কর্মীদের চাঙ্গা করতে পথে কংগ্রেসও

কলকাতার পুরভোটে শাসক দলের দাপটে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি বিরোধীরা। এখন বাকি আছে ৯১টি পুরসভার ভোট। সেই ভোটে কলকাতার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য মরিয়া বিরোধীরা। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে সোমবার যেমন বামেরা লালবাজার অভিযানে নেমেছিলেন, মঙ্গলবার সেই একই কমর্সূচিতে পথে নেমেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। বামের মতো কংগ্রেস নেতারাও এ দিন হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ২৫ এপ্রিলের পুরভোটে পুলিশের উপস্থিতিতে শাসক দলের সন্ত্রাস হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৯
Share:

লালবাজার অভিযানে সংঘর্ষ। মঙ্গলবার রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।

কলকাতার পুরভোটে শাসক দলের দাপটে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি বিরোধীরা। এখন বাকি আছে ৯১টি পুরসভার ভোট। সেই ভোটে কলকাতার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য মরিয়া বিরোধীরা। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে সোমবার যেমন বামেরা লালবাজার অভিযানে নেমেছিলেন, মঙ্গলবার সেই একই কমর্সূচিতে পথে নেমেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। বামের মতো কংগ্রেস নেতারাও এ দিন হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ২৫ এপ্রিলের পুরভোটে পুলিশের উপস্থিতিতে শাসক দলের সন্ত্রাস হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

Advertisement

কলকাতা পুরভোটের কংগ্রেস প্রার্থী-সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা এ দিন বিকেলে রাজা সুবোধ মল্লিক স্ক্যোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেন। বৌবাজার হয়ে লালবাজারের দিকে মিছিল এগোতেই ফিয়ার্স লেনের মুখে পুলিশ তাঁদের আটকায়। কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লালবাজারের দিকে এগনোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেসের ওই কর্মীদের ধস্তাধস্তির উপক্রম হয়। তবে নেতাদের হস্তক্ষেপে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। এরপর ওখানেই সভা করে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি দেবব্রত বসু, সাধারণ সম্পাদিকা কৃষ্ণা দেবনাথ, আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি রমেন পাণ্ডে, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রকাশ উপাধ্যায় প্রমুখ কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেন, কলকাতার পুরভোটে পুলিশের সামনে শাসক দলের লোকজনেরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাঁরা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের দায়িত্বে থাকায় তাঁরও ইস্তফা দাবি করেন তাঁরা। পরে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল লালবাজারে গিয়ে যুগ্ম কমিশনার রাজীব মিশ্রের কাছে তাঁদের অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।

তবে কাজের দিনে কংগ্রেসের লালবাজারের অভিযানের ফলে ডালহৌসির অফিস পাড়া তো বটেই, মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। কাজের দিনে মিটিং, মিছিল করা উচিত নয় বলে আদালত জানিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁরা এই কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত দত্ত জানিয়েছেন। কাজের দিনে এই ধরনের কর্মসূচির জন্য তাঁরা দুঃখপ্রকাশও করেন।

Advertisement

৯১টি পুরসভার ভোট নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে শাসকদের উপর চাপ রাখতে চাইছেন বিরোধীরা। এ দিন কংগ্রেস যখন লালবাজার অভিযান করছে, তখন রাজ্যের বাকি পুরসভার ভোটে যদি পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে, তা হলে শনিবার ভোট না করার জন্য দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এ দিন ফের বিজেপির এক প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচ ন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৭টি পুরসভার ভোট যখন করা হবে, তখনই বাকি ৯১টি পুরসভারও ভোট করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন