Sundarban

বাঁধ বাঁচাতে ম্যানগ্রোভ চারা  রোপণ সুন্দরবনে

২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবের পরে সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা লাগানোর কথা জানিয়েছিল বন দফতর।

Advertisement

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৬:১২
Share:

—ফাইল চিত্র

তারা শুধু সুন্দরবনের রক্ষক নয়, কলকাতা-সহ বাংলার প্রাকৃতিক উপকূলরক্ষীও। সেই ম্যানগ্রোভ বাহিনীকে দলে ভারী করতে না-পারলে যে রক্ষা নেই, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের হানায় তার প্রমাণ মিলেছে বার বার। তাই সুন্দরবনের বাঁধের উপরে কী ভাবে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো যায়, তার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের বন দফতর। সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বনসৃজনের কাজ শুরু হবে।

Advertisement

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি সুন্দরবনের বাঁধ রক্ষায় ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কথা বলেছেন। তার পরেই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। শুধু বন দফতর এই কাজ করবে, নাকি সেচ দফতর-সহ অন্যেরাও তাতে যুক্ত হবে— সেটা স্থির করা হবে পরে।

২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবের পরে সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা লাগানোর কথা জানিয়েছিল বন দফতর। সেই কাজ সম্পূর্ণ করে গত মার্চে চারা লাগানোর পুরো রিপোর্ট এবং তার খরচের সবিস্তার খতিয়ান জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিনোদকুমার। তিনি আরও জানান, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে স্থানীয় মানুষজনকে দিয়েই ওই কাজ করানো হয়েছে। তাতে খরচ হয়েছে ছ’‌কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ওই বনসৃজন হয়েছে। এর পাশাপাশি বন দফতর নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত ম্যানগ্রোভ অরণ্যে চারা লাগাবে।

Advertisement

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে এবং সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের ৫০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হয়েছে। মূলত বাইন, কাঁকড়া, গর্জন, ওরা, সুন্দরী গাছ লাগানো হয়েছে। কোন জমিতে কী ধরনের গাছ উপযোগী, তা সমীক্ষা করেই লাগানো হয়েছে। ওই পাঁচ কোটির মধ্যে যে-সব চারা মরে গিয়েছে, তাদের জায়গায় নতুন চারা বসানো হবে বলে জানান যাদব।

পরিবেশবিদেরা বলেছেন, ম্যানগ্রোভের জঙ্গল ঝড়ের ঝাপটা ঠেকাতে ঢালের কাজ করে ও তাদের শিকড় মাটি আঁকড়ে রাখে। বন দফতরের অভিজ্ঞ অফিসারেরা জানাচ্ছেন, চারা লাগালেই যে পরের বছর তার সুফল মিলবে, এমন নয়। চারাগুলি বড় হলে তবেই তারা ঝড় ঠেকাতে বা বাঁধ রক্ষা করতে পারবে। সেই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, বনসৃজনে রোপিত সব চারাই বাঁচে না। তাই প্রতি বছর বনসৃজনের কাজ চালিয়ে যাওয়া দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন