বধূ নির্যাতনের মামলায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কিন্তু সদাইপুর থানার চিনপাই গ্রামের ওই অভিযুক্তদের এক আত্মীয় তৃণমূলের নেতা হওয়ায় তাঁদের ধরায় গড়িমসি করার অভিযোগ উঠল বীরভূম জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই অভিযোগ করেছেন ঝাড়খণ্ডের বারহাড়োয়ার শিউলি দাস।
‘নির্যাতিতা’র অভিযোগ, ২০১১-র নভেম্বরে তাঁর বিয়ের তিন মাস পরেই অত্যাচার শুরু করেন স্বামী অনিমেষ মিত্র ও শাশুড়ি ভারতী মিত্র। ২০১৩-র মার্চে বাপের বাড়ি ফিরে রাজমহল আদালতে মামলা করেন শিউলিদেবী। ২০১৬-র জানুয়ারিতে অনিমেষবাবু ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও কেউ গ্রেফতার হননি। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের ধরতে চিনপাইয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশ এলেও সদাইপুর থানা সহযোগিতা করেনি। শিউলিদেবীর অভিযোগ, ‘‘এর পিছনে আমার খুড়শ্বশুর ভোলানাথ মিত্রের প্রভাব কাজ করছে।’’
বীরভূমের এসপি নীলকান্ত সুধীর কুমার মন্তব্য করতে চাননি। ফোন, এসএমএমে অনিমেষবাবুর জবাব দেননি। ভোলানাথবাবু বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছি কি না, পুলিশই বলুক।’’ সদাইপুর থানার দাবি, তাদের কাছে ওই দু’জনের গ্রেফতারি-পরোয়ানা নেই। গড়িমসির অভিযোগ ভিত্তিহীন।