কিশোরী পাচারে টোপ সোশ্যাল মিডিয়ায়

ফর্সা। সুন্দরী। কমবয়সি। ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি দেখে বন্ধুত্বের অনুরোধ। কোথাও আবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লাগাতার ‘মেসেজ’ পাঠানো। সেই মেসেজের উত্তর দিলেই ‘চ্যাট’ শুরু। ‘বন্ধুত্ব’ একটু জমে উঠলেই বিভিন্ন ‘পোজ’ দিয়ে ছবি পাঠানোর অনুরোধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৫
Share:

ফর্সা। সুন্দরী। কমবয়সি। ফেসবুকের প্রোফাইল ছবি দেখে বন্ধুত্বের অনুরোধ। কোথাও আবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লাগাতার ‘মেসেজ’ পাঠানো। সেই মেসেজের উত্তর দিলেই ‘চ্যাট’ শুরু। ‘বন্ধুত্ব’ একটু জমে উঠলেই বিভিন্ন ‘পোজ’ দিয়ে ছবি পাঠানোর অনুরোধ। সেই ছবি পাঠানোর পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ‘ব্ল্যাকমেলিং’: তাদের কথামতো সঙ্গে না-গেলেই সেই সব ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন ফাঁদ পেতেছে পাচার চক্র। তাতে পা দিয়ে মেয়েদের বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরের পর ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং খাস দিল্লির তদন্তকারী গোয়েন্দারা হতবাক। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, ডুয়ার্সের মেয়েদের এ ভাবেই টোপ দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে সিকিম, নেপালের অনেক এলাকার নামও।

দিল্লি থেকে কিছু কিশোরী ও তরুণীকে উদ্ধারের পরে এই তথ্য হাতে পেয়েছে সেখানকার পুলিশ। দার্জিলিঙের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে নির্ণয় জন ছেত্রী রবিবার বলেন, ‘‘সিকিম থেকে এক কিশোরী এবং একটি তরুণীকে এ ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে ছবি দিয়েছি, যাতে জলপাইগুড়িতে পৌঁছলেই তাদের আটকানো যায়।’’ ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কিংবা নতুন নতুন মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের মাধ্যমে ফাঁদ পাতায় পুলিশের পক্ষেও পাচারকারীদের ধরা কঠিন হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে দার্জিলিঙের একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে টোপ দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আর সেই সূত্রেই জানা যায়, নেপাল থেকে বছর পনেরোর একটি মেয়েকে বারে নাচার জন্য ফেসবুকে টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। গত তিন মাসে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ১১টি মেয়েকে দিল্লির বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। সব ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মেয়েদের টোপ গেলানো হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন